ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১৮ নং কলামে যদি স্বামী বাস্তবে তালাকের অধিকার না দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। সুতরাং স্ত্রী তালাকের নোটিশ প্রেরণ করলেও আল্লাহর কাছে তালাক হবে না। যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদাণ স্বামীর অগোচরে কাজী সাহেব দিয়ে থাকেন, তাহলে এজন্য কাজী সাহেব গোনাহগার হবেন।এবং দুনিয়ার বিচারে তখন স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে।তবে আল্লাহর আদালতে স্ত্রী এভাবে তালাকের অধিকার পাবে না।
সুতরাং ঐ বোন প্রথমে তার স্বামীকে খুলা তালাকের প্রস্তাব দিবে। স্বামী তাতে সায় না দিলে তখন ঐ বোন কোর্টে বিবাহ ভঙ্গের আবেদন করবে, তারপর কোর্ট স্বামীকে তলব করে হয় বিষয়টার মীমাংসা করবে, অথবা স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করবে অথবা কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা শুনিয়ে দিবে।