আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। শাইখ,আমার একটা জরুরি প্রশ্ন ছিলো। আজকে বিকেলের মধ্যে উত্তরটা পেলে খুব ই ভালো হয়।ফতোয়া যদি নেগেটিভ হয় তাহলে আমাকে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যেহেতু কালকে আমার হোস্টেলে উঠার কথা।

কিছু কারণে আমি এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারি নি।যার দরুন আমাকে প্রায় পূর্ণ নকল করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।আমি অনেক আগেই কলেযে ভর্তি হয়েছি(ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার)।কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছিলো না।মার্কসের উপর ডিপেন্ড করে গ্রুপ সিলেক্ট হয়েছে।(আই ফতোয়াতে অনেক ফতোয়া দেখেছি কিন্তু স্থির সমাধানে উপনীত হতে পারছি না।)

১।যেহেতু আমি কলেজে ভর্তি হয়েই গিয়েছি তাই কি এখন আমার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া জায়েজ হবে?

২।ভর্তি হওয়ার সময় আমি যদি শেষ পর্যন্ত কন্টিনিউ করবো নাকি করবো না এই ব্যাপারে স্থির কোনো নিয়াত না রেখে ভর্তি হই বা শুধু ইন্টার কমপ্লিট করবো বলে ভর্তি হই  কিন্তু বর্তমানে শেষ পর্যন্ত কন্টিনিউ করবো বলে নিয়াত করি তাহলে তা জায়েজ হবে?(উভয় ক্ষেত্রের ফতোয়াটা আলাদা আলাদা আশা করছি শাইখ)

৩।এই সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তি হলে তো কবীরা গুনাহগার হতে হবে।আমার প্রশ্ন হলো-গুনাহ কি শুধু ভর্তি হওয়ার সময় হবে নাকি যতদিন- যতবছর আমি পড়াশোনা করবো তত দিন ই হবে?

৪।যদি শুধু ভর্তির সময় ই গুনাহ হয় তাহলে কি প্রতি বছর বছর যে আমি ভর্তি হবো তখনও গুনাহ হবে?

৫।শরীয়তের অনেক ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন জাগে।যেমন একটু আগে একটা টপিকেই চারটা প্রশ্ন করে ফেলেছি।যদি এমনসব ক্ষেত্রে আমার ৬০/৭০℅ মনে হয় জায়েজ ই হবে তাহলে কি তা জায়েজ ই ধরে নিবো?
by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম, যেহেতু আপনি নকল করে পরিক্ষা দিয়েই ফেলেছেন + কলেজে ভর্তি হয়েই ফেলেছেন, তাই সহজ সমাধান হলো, খাস দিলে তওবা করুন নকল যে করেছেন তার জন্য, এমন নিয়ত করুন আর কখনোই এমন কাজ করবেন না, আশা করি আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন, কারন আল্লাহ অধিক দয়াময় এবং অধিক ক্ষমাশীল ❤️
by
একটা বিষয় উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম।আমি মেয়ে এবং পড়াশোনা ছেড়ে দিলে আমাকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।অর্থাৎ, সহজেই চলে আসতে পারবো না পরিবারের জন্য। 

1 Answer

0 votes
by (590,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক,কিংবা সার্টিফিকেট গ্রহণের ক্ষেত্রে হোক, সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)

বিশেষকরে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধ এবং তার অপরাধবোধ দীর্ঘমেয়াদী।শায়েখ উসাইমিন রাহ. এটাকে কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত করেন।কেননা এই নকলকৃত পরীক্ষার উপর ভবিষ্যৎ জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।সুতরাং মূল ভিত্তিতে ধোকা থাকলে তার শাখাপ্রশাখায় এর বয়ে যাওয়া ইতিবৃত্ত ধোকার মধ্যেই থাকবে।
(অাল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক)

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নকল করাটা আপনার জন্য জায়েয হয়নি এজন্য আপনা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।

(১) যেহেতু আপনি কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন, তাই এখন আপনার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া না জায়েয হবে না।

(২) আপনি শেষ পর্যন্ত কন্টিনিউ করতে পারবেন।

(৩)গুনাহ শুধুমাত্র নকল করার সময়েই হয়েছে। যতদিন- যতবছর আপনি পড়াশোনা করবেন, তত দিন গোনাহ হবেনা।

(৪) প্রতি বছর ভর্তি হওয়ার গোনাহ আপনার হবে না।

(৫)আল্লাহ আপনার ইলম আমলে বারাবাহ দান করুক,আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...