بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে
বর্ণিত, নবীজী
সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ
ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺘﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺣﻈﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺰﻧﺎ ،
ﺃﺩﺭﻙ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻣﺤﺎﻟﺔ ، ﻓﺰﻧﺎ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ، ﻭﺯﻧﺎ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﺍﻟﻤﻨﻄﻖ ، ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺗﻤﻨَّﻰ ﻭﺗﺸﺘﻬﻲ
، ﻭﺍﻟﻔﺮْﺝ ﻳﺼﺪﻕ ﺫﻟﻚ ﻛﻠﻪ ﻭﻳﻜﺬﺑﻪ "
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে)
যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর
দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে
মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো
করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ
মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)
মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত
হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ
وفيه دلالة
على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون
معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.
এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার
আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে,
বিসর্জন দেয়না,
তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত
৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/510
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে
বর্ণিত
قَالَ أَبُو
هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ
كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ،
فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى
وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ وَيُكَذِّبُهُ»
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ বনি আদমের উপর যতটুকু যিনা লিখে রেখেছেন সে তা করবেই;
এর থেকে কোন নিস্তার নেই। চোখের যিনা হচ্ছে-
দেখা; জিহ্বার
যিনা হচ্ছে- কথা, অন্তর
কামনা করে ও উত্তেজিত হয় এবং যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা বাস্তবায়ন করে না।(সহীহ
বুখারী-৬২৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4094
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পরের জীবন নিয়ে প্লানিং
করাটা দোষের কিছু নয়। বরং আরো উত্তম। তবে একান্ত ব্যক্তিগত শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদী বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা
ভাবনা করা থেকে বিরত থাকা চায়। তবে যেহেতু আপনার এই চিন্তা অনিচ্ছাকৃত ভাবে চলে আসছে বিধায় এতে গুনাহ হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে
এজাতীয় কল্পনা থেকে বিরত থাকতে হবে। যখনই এমন চিন্তা আসবে তখনিই ইস্তেগফার পড়বেন ও
আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাইবেন। বেশী বেশী জিকির করবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা
আপনাকে গুনাহ থেকে হেফাজত করবেন।