আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১.হযরত,মযী বা পস্রাবের ফোঁটার কারণে যদি আন্ডার গার্মেন্টস নাপাক হয় কিন্তু শুকিয়ে যায় এবং তার উপর শুকনো প্যান্ট বা ট্রাউজার পরা হয় এবং পরবর্তীতে সেই প্যান্ট বা ট্রাউজারে যদি ভেজা মশা,মাছি বা হালকা ঘর্মাক্ত হাত লাগে বা খাওয়ার সময় একটি ভাত পরে তবে কী পাক প্যান্ট বা ট্রাউজারটি নাপাক হয়ে যাবে?

পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি যদি এমন হয় যার খুবই সামান্যতেই ঘন ঘন মযীর সমস্যা হয় বা পেটে বেশি চাপ পরলেই পস্রাবের ফোঁটা চলে আসে তার ক্ষেত্র উক্ত বর্ণিত ক্ষেত্রে বা অযুর পানির ছিঁটার ক্ষেত্রে কী নাপাক হবে?এমন মযী বা পস্রাবের ফোঁটায় আক্রান্ত ব্যক্তি কীভাবে পাক থেকে নামাজ পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-

(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।

(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।

(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে। 

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।

(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।

(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

শরীরে বা পরিধানকৃত কাপড়ে নাপাক শুকনো কাপড়ের ছোয়া লাগলে শরীর বা কাপড় নাপক হবে না। সুতরাং প্যান্ট বা ট্রাউজারে ভিজা মশা , মাছি বা ঘর্মাত্নক হাত লাগলেও নাপাক হবে না। কারণ, এগুলির আদ্রতা সাধারণত এত বেশী হয় না যা প্যান্ট বা ট্রাউজারে ভিজিয়ে আন্ডার প্যান্ট পর্যন্ত পৌছায়।

যদি সব সময় আপনার ফোটা ফোটা মযী বের হতেই থাকে তাহলে দেখতে হবে যে, আপনি মাযূর কি না? যদি আপনি মাযূর হয়ে থাকেন তাহলে মাজূর ব্যক্তির বিধান হল, প্রতি নামাযের সময় হবার পর একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু মযী বের হওয়া ছাড়া অজু ভঙ্গের আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে যত ইচ্ছে নামায পড়া যাবে, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে নাপাক মনে করার কোন প্রয়োজন নেই। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/85710/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...