আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। প্রিয় শায়েখ, আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।
সম্মানীত শায়েখ, আমার বিষয়টি একটু শুরু থেকে বলছি। আমার বাবা-চাচারা চার জন। তখন আমরা সপরিবারে ঢাকায় ছিলাম। আমার তিন চাচা পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর বা তারও আগে একখণ্ড জমি ক্রয় করেন। জমি রেজিস্ট্রি করার সময় আমার দাদি আব্বার নাম দলিলে উঠাতে চাচাদেরকে অনুরোধ জানান এবং বলেন যে জমি ক্রয়ের টাকার চার ভাগের একভাগ (৪৫,০০০÷৪= ১১,২৫০ টাকা) আমার আব্বা পরিশোধ করবেন।

দাদির কথার পরিপ্রেক্ষিতে তখন দলিলে আব্বার নাম দেয়া হয় যেটা আব্বা নিজেও জানতেন না। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর উক্ত জমি ক্রয়ের পাওনা টাকা নিয়ে চাচারা কোনোকিছু জানাননি। এমনকি দলিলে যে আব্বার নাম দিয়েছেন, এটা পর্যন্ত প্রকাশ করেননি। এভাবে কয়েকবছর যাওয়ার পর দলিলে নাম থাকার বিষয়টি আব্বা নিশ্চিত হন এবং টাকা দেয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
ব্যাপারটা এখানেই সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু ছোট চাচা বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি বর্তমান বাজার দরে জমির পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বল প্রয়োগ করেন। এমনকি বর্তমান বাজার দরে টাকা পরিশোধ না করলে জমি দিবেন না বলে হুমকি-ধমকি দেন। এমতাবস্থায় গ্রামের মুরুব্বিদেরকে নিয়ে মিটিং বসানো হয় এবং তিনজনকে (তিন চাচাকে) পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য রায় করা হয় যেটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেই নি। তারপরও, পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সমাধান করার উদ্দেশ্যে ৬০ হাজার টাকা চাচাদেরকে পরিশোধ করে থাকি যদিও এখনো ওনারা বাকি টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন পরপর দুর্ব্যবহার করে থাকেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, পাওনা টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বেশি নেয়া হালাল হবে কী না এবং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী এর ফায়সালা কী হবে?

আশা করছি আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে অধমকে সহযোগিতা করবেন। জাযাকুমুল্লাহু খয়রান। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,440 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻟِﺮَﺟُﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳِﻦٌّ ﻣِﻦْ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻓَﺠَﺎﺀَﻩُ ﻳَﺘَﻘَﺎﺿَﺎﻩُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﻓَﻄَﻠَﺒُﻮﺍ ﺳِﻨَّﻪُ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻻ ﺳِﻨًّﺎ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً )
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জনৈক ব্যক্তির একটি বাচ্ছা বয়সী উট পাওনা ছিলো,অতঃপর যখন সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে এসে তা চাইলো।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ উনার পাওনা উনাকে বুঝিয়ে দাও।সাহাবায়ে কেরাম (সদকার মালের মধ্যে খুজে)উক্ত ব্যক্তির পাওনা কমবয়সী উট পেলেন না।বরং তার থেকে একটু বেশী বয়সী উট পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ তোমরা তা তাকে দিয়ে দাও,কেননা তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে ঋণ পরিশোধের সময় উদারতা প্রদর্শন করে।তথা অতিরিক্ত দিয়ে দেয়।(সহীহ বুখারী-২৩৯৩,সহীহ মুসলিম-১৬০০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7485

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
জোরজবরদস্তি করে বা চুরি করে যদি কারো টাকাকে আত্মসাৎ করা হয়ে থাকে,তাহলে ঐ টাকার বর্তমান ভ্যালু অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে। তবে যদি পারস্পারিক সম্মতিতে অনুষ্টিত কোনো লেনদেন বা করযে হাসানার কোনো টাকা কারো নিকট বাকী থাকে,তাহলে বর্তমানে পরিশোধের সময়,উভয় লেনদেনকারী নিজ নিজ সম্মতিতে কমবেশ করে সমাধা করে নিলেই হবে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনারা কয়েকজন ন্যায়পরায়র ব্যক্তিবর্গের পরামর্শের ভিত্তিতে কমবেশ করে সমাধান করে নিতে পারবেন।এক্ষেত্রে সুদ হবে না। সুতরাং আপনারা যদি এখন ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশী দিতে চান, তাহলে সেটা সুদের আওতাধীন হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,440 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...