আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। প্রিয় শায়েখ, আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।
সম্মানীত শায়েখ, আমার বিষয়টি একটু শুরু থেকে বলছি। আমার বাবা-চাচারা চার জন। তখন আমরা সপরিবারে ঢাকায় ছিলাম। আমার তিন চাচা পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর বা তারও আগে একখণ্ড জমি ক্রয় করেন। জমি রেজিস্ট্রি করার সময় আমার দাদি আব্বার নাম দলিলে উঠাতে চাচাদেরকে অনুরোধ জানান এবং বলেন যে জমি ক্রয়ের টাকার চার ভাগের একভাগ (৪৫,০০০÷৪= ১১,২৫০ টাকা) আমার আব্বা পরিশোধ করবেন।
দাদির কথার পরিপ্রেক্ষিতে তখন দলিলে আব্বার নাম দেয়া হয় যেটা আব্বা নিজেও জানতেন না। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর উক্ত জমি ক্রয়ের পাওনা টাকা নিয়ে চাচারা কোনোকিছু জানাননি। এমনকি দলিলে যে আব্বার নাম দিয়েছেন, এটা পর্যন্ত প্রকাশ করেননি। এভাবে কয়েকবছর যাওয়ার পর দলিলে নাম থাকার বিষয়টি আব্বা নিশ্চিত হন এবং টাকা দেয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
ব্যাপারটা এখানেই সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু ছোট চাচা বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি বর্তমান বাজার দরে জমির পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বল প্রয়োগ করেন। এমনকি বর্তমান বাজার দরে টাকা পরিশোধ না করলে জমি দিবেন না বলে হুমকি-ধমকি দেন। এমতাবস্থায় গ্রামের মুরুব্বিদেরকে নিয়ে মিটিং বসানো হয় এবং তিনজনকে (তিন চাচাকে) পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য রায় করা হয় যেটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেই নি। তারপরও, পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সমাধান করার উদ্দেশ্যে ৬০ হাজার টাকা চাচাদেরকে পরিশোধ করে থাকি যদিও এখনো ওনারা বাকি টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন পরপর দুর্ব্যবহার করে থাকেন।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, পাওনা টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বেশি নেয়া হালাল হবে কী না এবং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী এর ফায়সালা কী হবে?
আশা করছি আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে অধমকে সহযোগিতা করবেন। জাযাকুমুল্লাহু খয়রান। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।