ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম।শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ. (১৩৩৬হি.-১৪১৭হি.)-এর ইন্তেকালের পর মাসিক আলবালাগে প্রকাশিত তাঁর অনুভূতিতে লিখেছিলেন-
“হযরত শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ. আল্লামা মুহাম্মাদ জাহিদ কাউসারী রহ.-এর খাস শাগরেদ ছিলেন। আল্লামা কাউসারী রহ.-এর বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যের দ্বারা মাযহাবে হানাফি ও মাসলাকে আশাইরার পক্ষে মজবুত মোকাবেলা করেছেন এবং যারা ফুরূয়ি ইখতিলাফকে কেন্দ্র করে হানাফি ও আশআরি আলেমদেরকে নিন্দা ও কটূক্তির লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। অন্যান্য আলেমদের মতো আল্লামা কাউসারি রহ.-এরও কোনো কোনো কথা ও উপস্থাপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণের অবকাশ আছে, কিন্তু এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি ওই মজলুম আহলে ইলম জামাতের পক্ষ হতে জবাব দেওয়ার ফরযে কিফায়া দায়িত্ব পালন করেছেন, যাদের উপর কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই গোমরাহ আখ্যা দেওয়া এবং কটূক্তি ও সমালোচনার তীরবৃষ্টি নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আরো বর্ণিত রয়েছে, -নুকূশে রফতেগাঁ, মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী, পৃ, ৩৯০-৩৯২।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জাহেদ আল কাউসারি সাহেব আকাইদ ও ফিকহের উসুলের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী আহনাফদের অনুসরণ করেছেন। হ্যা, কিছু ক্ষেত্রে উনার নিজস্ব কিছু অভিমত থাকতেই পারে।তবে অধিকাংশ ক্ষেত্র তিনি পূর্ববর্তী আহনাফদের মূলনীতির অনুসরণ করেছেন।