শরীয়তের বিধান হলো শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকানোর ফলে বীর্যপাত ঘটেছে, তার কি রোযা ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯ আরো দেখুন : সহীহ বুখারী ১/২৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; ফাতাওয়া শামী ২/৩৯৬।
,
★শরীয়তের বিধান হলো, হস্তমৈথুনের কারনে বীর্যপাত হয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم(
সারমর্মঃ
রোযাদার যদি নিজ লিঙ্গকে চেষ্টা (মৈথুন) করে,তাতে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে রোযার কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর সাথে শারীরিক ভাবে স্পর্শের দরুন তার কামরস নির্গত হয়েছে,তবে সহবাস হয়নি,এক্ষেত্রে কামরস নির্গত দ্বারা যদি বীর্যপাত হওয়া উদ্দেশ্য হয়,সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র উক্ত রোযার কাজা আদায় করা আবশ্যক হবে।
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
শুধুমাত্র স্ত্রী তার রোযার কাজা আদায় করবে,স্বামী নয়। কেননা এক্ষেত্রে স্বামীর কিছুই হয়নি।
ঐ রোযার পরিবর্তে এখন শুধু একটি রোযা রাখবে।
এক্ষেত্রে কামরস নির্গত দ্বারা যদি বীর্যপাত হওয়া উদ্দেশ্য না হয়,এমনিতে স্বামী স্পর্শ করলে উত্তেজনা বশত যেই পানি বের হয়,সেটি উদ্দেশ্য হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত রোযা ভেঙ্গে যায়নি।
তাই এক্ষেত্রে কাজা আদায় করতে হবেনা।