আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ,আমি গত ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে বিবাহ করি,

তখন আমার মাসে ৭/৮ হাজার টাকা ইনকাম হতো (২০২১ এর ফেব্রুয়ারী), তখন একটি মেয়েকে ওয়ালি থেকে লুকিয়ে বিয়ে করি, সেও ৩ হাজারের মতো ইনকাম করতো।(উভয়ের পেশা টিউশন) আমরা বিয়ে করার সময় যে মোহর নির্ধারন করা ছিলো তার থেকে বেশি টাকাও আমার ছিলো।(শেষ পাওয়া তথ্য মতে এমনই হওয়ার কথা এই টাকা আমার কাছে ছিলো তা ৯৫%) আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিয়ের পর আমরা নিজেদের বাসায় থাকবো, যার ফলে মেয়ে কাবিনের টাকাও নেয় নি। মেয়ের নিজের মালিকানায় দরকারের বাইরে ক্যাশ টাকা তখন কতো ছিলো মনে নাই,তবে মনে হয় না তা আমার চেয়ে বেশি ছিলো, আর একটা রুপার আংটি ছিলো যা আমিই তাকে ৩০০ টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিলাম, জানি না আদৌকতোটুক রুপা আছে না কি নেই, মনে তো হয় না রুপা আছে। বংশের দিক থেকে, ছেলের বাবা চৌধুরী,  মেয়ের বাবা নামের সাথে শাহ লিখেন, তবে মেয়ের মা চৌধুরী বংশের। দ্বীনদারিতার কথা বললে।কার দ্বীনদারিতা বেশি তা বলা কঠিন, দুজনেই নামাজ রোজা মোটামুটি করতেন,কিন্তু ছেলে মেয়ের থেকে একটু ভালো কলেজে পড়ায় ফ্রি মিক্সিংএ বেশি ছিলো,মেয়ের সে সুযোগ না থাকলেও প্রেমতো করতোই। ধন সম্পের ক্ষেত্রে কুফু বলতে এটাই জানি যে কাবিন ও খাওয়ানোর সামর্থ থাকলেই হয়। এক্ষেত্রে কাবিন ১০০০০+ টাকা তখন আমার কাছে ছিলো বলেই বিশ্বাস হচ্ছে, আর তখনের অনুপাতে সেই আয়ের টাকায় দুজনে চাইলে কষ্ট করে চলতেও পারতাম আশা করি,তখন মোটামুটি এখনের থেকে কম দামে পাওয়া যেতো।তাছাড়া টিউশনি খুঁজে বাড়ানোর দরকার হলে তাও করার সামর্থ ছিলো তখন। আলাদা থাকায় তার দরকার পরে নি। কুফুর ক্ষেত্রে আর কি লাগে তা তো জানি না।

১.আমাদের বিয়েতে  কি তখন কুফু রক্ষা হয়েছে?

২.  আমাদের কি বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে.? সংসার করতে পারবো?

৩. মেয়ে ওলি ছাড়া গায়রে কুফু বিয়ে করলে,বাবা মা না জানিয়ে তাদের সংসার কি গুনাহের সংসার হবে?

৪. মেয়ে/ছেলে যদি আনুষাষ্ঠানিক বিয়ে বুঝানোর জন্য,মাঝে মাঝে,  এতো দেরী হচ্ছে বিয়েতে মনে হয় আমাদের আর বিয়েই হবে না/ বিয়ের পরে এটা করবো/ দোয়া করো জলদি বিয়ে হইতো এসব বললে সমস্যা হবে?

দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের এখানে ধর্মভীরুতার দিক লক্ষ্য করে কুফুর সামঞ্জস্যতা আছে। তবে মেয়ের বাবার সম্পদের কথা উল্লেখ নেই,তাই সে দিক হতে কুফুর সামঞ্জস্যতা আছে কিনা,বলা যাচ্ছেনা।

মেয়ের বাবা যদি আপনাদের তুলনায় অনেক বেশি সম্পদশালী হয়,সেক্ষেত্রে সম্পদের দিক হয়ে কুফুর মিল নেই,বলা হবে।

(০২)
কুফুর মিল থাকলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আর যদি কুফুর মিল না থাকে,সেক্ষেত্রে মেয়ের বাবা যেহেতু আদালতের দারস্থ হয়ে বিবাহ ভেঙ্গে দেয়নি,আর বিবাহের সময় মেয়ে যেহেতু বালেগাহ ছিলো,তাই আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ।  আপনারা সংসার করতে পারবেন।

(০৩)
এক্ষেত্রে মেয়ে বালেগাহ হওয়ার পর উক্ত বিবাহ করে থাকলে তাদের সংসার গুনাহের সংসার হবেনা।

(০৪)
এসব বললে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
অনেক বেশি সম্পদশালী নয়, উনার জানা মতে আয়ের উৎস হিসাবে একটা ব্যটাারী চালিত টমটম ছিলো..আগে বিদেশে ছিলেন,এখন কিছুই করেন না, উল্লেখ্য আর্থিক ভাবে উনি অনেক ধনী এমন তো মনে হয়না।
জানা মতে উনার একটা টমটমের দৈনিক ভাড়াই উনার আয়। ...
আর বাকি উনার কিছু ঋন ও আছে, যা একটা জমি বিক্রি করে দিবেন এই আশায় বসে আছেন সেই জমিও মামলাধীন,হাইকোর্টে। আমার তো ঋণ নাই, উনার মেয়ের একটা বিজনেছ ছিলো/আছে ওইটা দিয়েই বেশি সংসার চলতো এখনো সেরকম ই,
তবে  এটা অসম্ভব না যে উনার কাছে আমার থেকে বেশি সম্পদ থাকবে, উনার বাসা,জাগা জমি থাকবে,যা আমার নাই, কিন্তু আমার পরিবার তুলনায় ও জীবন মানে খুব তফাত দেখি না, বরং আল্লাহ দিলে আমার খাওয়া দাওয়া তাদের তখন থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো চলতো,কিন্তু আমি তো পড়াশোনার জন্য হোস্টেলে থাকতাম।পরিবার বিবেচনায় উনারা খুব ধনী না, আমাদের মতোই ছিলেন, উনার বোনের ব্যবসার আয় ছিলো,যার কিছু অংশ পরিবারে দিতো। আমার ইলমে যে ছিলো তা বললাম....

আর যখন বিয়ে করেছিলাম তার আগে থেকেই টিউশন করতাম, সেই বছর ফেব্রুয়ারীতে টিউশন কেবল শুরু করি...সেই মাসের টাকা হাতে না পেলেও বুঝে ছিলাম মাস শেষে আনুমানিক ৭/৮ হাজার আয় হবে, তাই প্রশ্নে বলেছিলাম ৭/৮ হাজার, তবে আমার জমা টাকা কিছু ছিলো যা আমরা নিজেরা কথা বলে যে মোহর নির্ধারন করেছিলাম তার থেকে বেশি, যদিও কাজি তার এজিন নেওয়ার সময় কাবিনের এমাউন্ট বলে নি, আমার কবুল নেওয়ার সময় বলেছিলো, আর তখন সে সেখানেই ছিলো ও শুনেছে।
এই সার্বিক অবস্থা বর্ননা করলাম।

প্রশ্ন ও কমেন্টের বিবেচনায় আমাদের কুফু মিলেছে কি বলা যায়?


(উল্লেখ্য এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার একটা চাকরী আছে,আয় কোনো মাসে এখন ১৫ হাজার এর মতো, মাদরাসায় শিক্ষকতা +টিউশন,টিউশন বারলে কমলে আয় কম বেশি হয়)
by (559,260 points)
নিশ্চিত ভাবে জেনে তাদের জায়গা জমির পরিমান,বাসার বিবরন, আর আপনাদের জায়গা জমির পরিমান,বাসার বিবরন উল্লেখ করলে ভালো হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...