ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
খোলা তালাক গ্রহণের পর যে বিবাহ হয়েছে,সেই বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। খোলা তালাক গ্রহণের তারিখ থেকে ৩ মাস পর আপনাকে আবার বিয়ে করতে হবে। তবে যদি ঐ বোনের গর্ভে সন্তান থাকে, তাহলে সন্তান প্রস্রবের পর তাকে বিয়ে করতে হবে। দ্বিতীয় ঐ ব্যক্তি যার সাথে ইদ্দতে বিয়ে হয়েছিলো,সে প্রবাসে থাকলে যথাযথ নিয়ম অনুসারে আবার বিয়ে হতে হবে।
(২)
আপনার পিত্রালয় লক্ষপুরে যেহেতু এখনো আপনার বাবার দুইটি রুম রয়েছে, এবং জায়গাজমি রয়েছে, তাই আপনার জন্য রংপুর এবং লক্ষীপুর উভয়টিই ওয়াতানে আসলি। সুতরাং যেভাবে রংপুরে আপনি মুকিম ঠিক তেমনি লক্ষীপুরেও আপনি মুকিম হিসেবে বিবেচিত হবেন।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 132):
"(قوله: والأصل أن الشيء يبطل بمثله) كما يبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي، و وطن الإقامة بوطن الإقامة، و وطن السكنى بوطن السكنى". فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144105200979
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
(৩)
চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,
"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى
শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
সম্মাণিত দ্বীনী বোন!
দ্বীনদার পাত্র পাত্রী বাঁচাই করা এবং জীবনে পাওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় একটি নিয়ামত। সুতরাং মাতাপিতাকে দ্বীনদার পাত্রর ফযিলত সম্পর্কে বুঝাতে থাকুন। মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই কিছু করার চেষ্টা করুন। মাতাপিতাকে অগ্রাহ্য না করে বরং মাতাপিতার পরামর্শেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই কল্যাণজনক। প্রয়োজনে চাচাতো ভাইদের মধ্য থেকে তুলনামূলক কাউকে কিছু পছন্দ হলে তাকে তাবলীগে তিন চিল্লা ও দাড়ি টুপি পরিধানের কথা বলে দেখতে পারেন। অথবা চাচাতো ভাইদের সাথে সারাসরি আলাপ করুন যে,আপনি আপনার সম্পত্তি কাউকে দিবেন না বরং আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে দিতে পারেন। হয়তো এইসব শুনে তারা চাপ প্রয়োগ বন্ধ করে দিতে পারে। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।