আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
১/আমার ভাই ব্যাংক এ চাকুরী করে,ইসলামি ব্যাংক।সে নাকি কার্ড বানাবে,কি কার্ড আমি জানিনা..তার কার্ড মেবি আরেকজন মানুষ এর আইডি ছবি লাগে হয়ত নমিনি টাইপ কিছু। তার স্ত্রির টা নাকি পাচ্ছে না বা অন্য কিছু।সে আমার কাছে এসেছে।এখন তাকে যদি আমার আইডি ছবি দিয়ে কার্ড বানাতে সাহায্য করি আমি কি হারাম কাজ করব?
২/যদি গোনাহ হয় আমি কি ওর সমপরিমাণ গোনাহগার হব?

৩/আমার করনিয় কি?আমি সুদি লেনদেন এ জড়িত হতে চাচ্ছিনা।
by (19 points)
আমি তাকে ছবি আইডি কার্ড দিয়ে ফেলেছি।এমতাবস্থায় আমার চিন্তা হচ্ছে।
১/জিজ্ঞাসা করলে বা মানা করলে যদি মনোমালিন্য হবার আশংকা থাকলে কি করনিয়?
২/ আর সে যদি  করে ফেলে কাজটা আমার করনীয় কি? 
by (19 points)
সে নাকি তার বা তার বন্ধুর ব্যাংকে মেবি ৫০০  ক্রেডিট কার্ড   এর টার্গেট ফিল করতে এটা করতেসে এবং ফেব্রুয়ারি তে সেটি অফ করে দিবে বলতেসে.এক্ষেত্রে কি আমার তাকে চাকরি তে সাহায্যর গোনাহ হবে যেহেতু ব্যাংক এর চাকরি নিয়ে হালাল-হারাম বিষয় আছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহন হারাম,তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খুললে যেহেতু সুদ ভক্ষন করতে হয়,সুদ গ্রহন না করলেও যেহেতু সুদী কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হয়,তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা ও নমিনি হওয়া কোনোটিই জায়েজ নেই । 
,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
,
সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যেহেতু নাজায়েজ, তাই জেনে শুনে নমিনী হওয়াও নাজায়েজ।    
ইসলামী ব্যাংকে মুনাফা গ্রহন না করার নিমিত্তে নমিনী হওয়া যাবে 

আরো জানুন। 

ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ

প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম। 

তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে। 

قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات

তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০] 

قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا

জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১] 
,
★সুতরাং নমিনির হওয়ার জন্য ছবি তোলা, দেওয়া জায়েজ আছে। 
,   
তবে এসময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, চেহারা ব্যতিত অন্য কোনো অংশ যেনো পর্দাহীন ভাবে ছবিতে না আসে।
উল্লেখিত ছুরতে পুরো মাথাভালো করে হিজাব পড়ে ছবি তুলতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এটি নমিনি নয়।
সুতরাং এক্ষেত্রে ছবি দেয়া জায়েজ নেই।

(০২)
আপনার তার সমপরিমাণ গুনাহ হবেনা।

(০৩)
আপনার করনীয় হলো তাকে বলবেন যে আপনার নাম ও ছবি পরিবর্তন করে অন্য কাহারো ছবি দেয়ার জন্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...