আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।  জরুরি ভিত্তিতে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছি। বিষয়টা শুধু আমার ডিপার্টমেন্টের জন্য জানতে চাচ্ছি। কারণ অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই। প্রশ্ন দীর্ঘ হওয়ায় আন্তরিকভাবে দু:খিত।
১. মাস্টার্সের এসাইনমেন্ট এর ব্যাপার গুলা আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর স্যার ম্যামরা নিজেরা বলে দেন যে জাস্ট ২-৩টা জার্নাল নামিয়ে সেখান থেকে সাজিয়ে দিবা জিনিসটা।  আমি দেখতে চাই তুমি কতটুকু বুঝতে পারছো। কারণ যেহেতু তুমি রিসার্চ করোনি সেহেতু তোমার নিজের মত লিখার সুযোগ নেই৷ তাহলে সে ক্ষেত্রে কি অন্যের থিসিস বা জার্নালের সহায়তা নেয়া জায়েজ হবে?
২. টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় থিসিস, রিসার্চ এগুলো করতেই হবে মাস্টার্সে। কিন্তু থিউরিটিক্যাল ব্যাপারে জোর বেশি দেয়ায় দেখা যায় থিসিস লিখার ব্যাপারে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ছাত্রদের তেমন কোনো গাইডলাইন দেয়া হয়না। কম্পিউটারের কাজ ও সবাই পারেনা। এজন্য  শিক্ষকরাই এ ব্যাপারে শিথিল হয়েছেন। আগেও ছাত্রদের করতে দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে সবাই থিসিসের কাজ গুলা করতে পারেনা বা করলেও দেখা যায় থিসিস মূল্যায়নের সময় বেশিরভাগের ডিগ্রী আটকে যায় এক্সটার্নাল এর জন্য। এসব বিবেচনা করে আমাদের ডিপার্টমেন্টে শিথিল করছেন ব্যাপারটা।  কারণ আমাদেরকে এসব লিখার জন্য যেরকমভাবে শেখানো বা গাইডলাইন দেয়া দরকার তার কোনোটাই দেয়া হয়না  থিউরি পড়াতে গিয়ে। প্র‍্যাক্টিকাল নলেজের অনেক গ্যাপ থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে  কি  তাহলে থিসিস লিখতে কারও সহায়তা নেয়া যাবে?

৩. যেহেতু মাস্টার্স ডিগ্রি মেইনলি সুপারভাইজার গাইডলাইনের উপর আর ক্লিয়ারেন্সের উপর ডিপেন্ড করে। এটা অনার্স ডিগ্রির মত না। নানান পারিবারিক জটিলতার জন্য  আমার পক্ষে এখন থিসিস লিখা সম্ভব হচ্ছে না + হাতে তেমন সময় নেই যেহেতু আমি কম্পিউটারের কাজ পারিনা।  থিসিস না লিখতে পারলে আমার এই দেড় বছরের কষ্টের কোনো মূল্য নেই। বিষয়টি সুপারভাইজার ম্যামের সাথে শেয়ার করায় ম্যাম বলছেন যে, "কাওকে দিয়ে লিখানো শুরু করে দাও আর সমস্যা হলে আমি তো আছি। আমরা এজন্য শিথিল হয়েছি কারণ আমরাও চাই ছাত্ররা পাশ করে ডিগ্রি টা নিক। এতদিন সব করে এই থিসিসের জন্য ডিগ্রি টা আটকে না যাক।" তবে একেবারে অন্যের উপর ছেড়ে না দিয়ে নিজেও কিছু লিখার চেষ্টা করবে শেখার জন্য + কারও সহযোগিতা নিবে। ম্যাম প্রফেশনাল কারোর সহযোগিতা নিতে বলেছেন। তাহলে আমি কি এখন থিসিস পেপার লিখতে কারও সহায়তা নিতে পারব??

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে যদি অন্যের থিসিস বা জার্নালের সহায়তা নেয়ার অনুমতি থাকে,তাহলে এমন সহায়তা নেয়া জায়েজ হবে। নতুবা জায়েজ হবেনা।

(০২)
দায়িত্বশীল শিক্ষকরা যদি অন্যের সহায়তা নেয়ার অনুমোদন দেয়,বা সমর্থন করে,আর তাহা যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মের বিপরীত না হয়, সেক্ষেত্রে সহায়তা নেয়া যাবে।
তবে আপনাকে নিজের হাতেই লিখে টাইপিং এর জন্য দিতে হবে,অপরে যেনো লিখে না দেয়। 

(০৩)
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে এভাবে অন্যের সহায়তা নেয়ার অনুমোদন থাকলে,নিষেধাজ্ঞা না থাকলে অন্যের সহায়তা নেয়া যাবে।
অন্যথায় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
লিখিত কোনো অনুমোদন নেই। কিন্তু ছাত্রদের অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিথিল হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলতে তো এখানে ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান তাইনা?? উনিও শিথিল হয়েছেন৷ অনুমতি আছে কিন্তু লিখিত না সেই অনুমোদন এই আর কি। 
by (561,180 points)
হ্যাঁ, এটি অনুমতি বলেই সাব্যস্ত হবে।
সুতরাং এক্ষেত্রে অন্যের সহায়তা নেয়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...