আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন undergraduate ছাত্রী। থিসিসের কাজে কিছু নন মাহরামের সাথে কাজ করতে হচ্ছে, এই জায়গায় বলা যায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে।কিন্তু আমাদের থিসিসের যেই টপিকটা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে সেটা নিয়েই দ্বিধা আছে। টপিকটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় hatespeech detection, এটার ক্ষেত্রে misogyne(নারীবিদ্বেষী), সেক্সিসম, পলিটিকস,religion আরো কিছু বিষয়ে hatespeech নিয়ে কাজ করা হবে।
এখন এক্ষেত্রে যদি এমনকিছু টার্ম বা dataset চলে আসে যেটা আমার আকিদার পরিপন্থী তখন কি বিষয়টা আমার জন্য হারাম হবে?
যেমন, " পর্দা করেনা, ধর্ষণ তো হবেই।" এখানে misogyne ক্যাটাগরিতে hatespeech বলে গণ্য হবে। এরচেয়েও বাজে বা স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ আসতে পারে।ওভারঅল বিষয়টা NLP(Natural Language Processing) এর আন্ডার এ।
এই টপিকে কাজ করা কি আমার জন্য জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/26400/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেনঃ-
 
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের  যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না। 
,
★সুতরাং পরীক্ষায় বর্ণনার জন্য যেকোনো কুফরী কথা/মিথ্যা গল্প লিখলে ঈমান চলে যাবেনা।
এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে।
,
তবে ইসলাম বিরোধী কোনো আকীদা পোষন করা জায়েজ হবেনা।    

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আকীদা বিশুদ্ধ রেখে উক্ত বিষয় নিয়ে থিসিস করতে গিয়ে আকীদার পরিপন্থি কিছু লিখলে আপনার গুনাহ হবে ঠিকই,তবে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। কুফরি হবেনা।
আপনাকে তওবা করতে হবে। ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। 

সুতরাং উক্ত টপিক নিয়ে থিসিস করতে গিয়ে শরীয়তবিরোধী কিছু লেখা বাধ্যতামূলক না হলে শরীয়তবিরোধী কিছু না লেখার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা হয়নি, সেটা হচ্ছে এখানে আমাদের মেইন কাজ implementation level এ, এক্ষেত্রে dataset অনেক বড় হওয়ায় এর ডিটেইল সম্পর্কে নাও জানতে পারি, সেক্ষেত্রে না জেনে কাজ করলে কি সমস্যা হবে?
by (678,880 points)
সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...