ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জ্বী, এভাবে দু'আ করা যাবে,
''হে আল্লাহ অমুক বেক্তিটা আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হলে তাকেই তুমি আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,'' আর আমার জন্য উত্তম না হলে দিওনা।"
(২)
আল্লাহকে তুমি বললে অসম্মান হবে না। কেননা সামাজিকভাবে তুমি সম্মানার্থে ব্যবহৃত হয়।সবচেয়ে বেশী সম্মান সূচক শব্দ আপনার নিকট যেটি, সেই শব্দ ব্যবহার করেই আপনি দু'আ করবেন।
(৩)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/987
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে নিয়মিত তার কাছে চাইতে হবে। এবং নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে যে, অবশ্যই আল্লাহ দু'আকে কবুল করবেন।
(৪)
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে। সকল প্রকার বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।
(৫)
আজান এবং ইকামতের মধ্যবর্তী সময়েই বেশী দু'আ কবুল হয়ে থাকে।
(৬)
রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্তই তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত।