জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সুরা আরাফের ১৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
هوَ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّ جَعَلَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا لِیَسۡکُنَ اِلَیۡہَا ۚ فَلَمَّا تَغَشّٰہَا حَمَلَتۡ حَمۡلًا خَفِیۡفًا فَمَرَّتۡ بِہٖ ۚ فَلَمَّاۤ اَثۡقَلَتۡ دَّعَوَا اللّٰہَ رَبَّہُمَا لَئِنۡ اٰتَیۡتَنَا صَالِحًا لَّنَکُوۡنَنَّ مِنَ الشّٰکِرِیۡنَ ﴿۱۸۹﴾
তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। তারপর যখন সে (স্বামী) তার সাথে (তার স্ত্রীর সাথে) সংগত হয় তখন সে এক হালকা গর্ভধারণ করে এবং এটা নিয়ে সে অনায়াসে চলাফেরা করে। অতঃপর গৰ্ভ যখন ভারী হয়ে আসে তখন তারা উভয়ে তাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, যদি আপনি আমাদেরকে এক পূর্ণাঙ্গ সন্তান দান করেন তাহলে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
সুরা আরাফের ১৯০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
فَلَمَّاۤ اٰتٰہُمَا صَالِحًا جَعَلَا لَہٗ شُرَکَآءَ فِیۡمَاۤ اٰتٰہُمَا ۚ فَتَعٰلَی اللّٰہُ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۱۹۰﴾
অতঃপর তিনি (আল্লাহ) যখন তাদেরকে এক পূর্ণাঙ্গ সুসন্তান দান করেন, তখন তারা তাদেরকে তিনি যা দিয়েছেন সেটাতে আল্লাহ্র বহু শরীক নির্ধারণ করে, বস্তুত তারা যাদেরকে (তার সাথে) শরীক করে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে।
কাতাদা বলেন, হাসান বসরী বলতেন, এর দ্বারা ইয়াহুদী ও নাসারাদের উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে সন্তান-সন্তুতি দান করেন, কিন্তু তারা সেগুলোকে ইয়াহুদী কিংবা নাসারা বানিয়ে ছাড়ে। [তাবারী; ইবন কাসীর]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এখানে বলা হয়েছে যে আদম এবং মা হাওয়া আঃ থেকে প্রত্যেককে সৃষ্টি করা করা হয়েছে।
মহিলাদের সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে করে স্বামী তার কাছে শান্তি পায়।।
এখানে যে বলা হয়েছে যে ""তারা উভয়ে তাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে""
এটা আদম ও হাওয়া নন।
বরং এখানে ইয়াহুদী ও নাসারা উদ্দেশ্য।
,
তারাই দোয়া করে,এবং পরবর্তীতে সেই সন্তানগুলোকে ইয়াহুদী কিংবা নাসারা বানিয়ে ছাড়ে।
,
এখানে নবী আদম আর হাওয়া তাদের সন্তানদের নিয়ে আল্লাহ সাথে শরীক করেননি।
,
প্রথম মানুষ অবশ্যই হযরত আদম আঃ।
,
বিস্তারিত জানতে তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, ইবনে কাসীর পড়তে পারেন।