আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমার ফুপা যার উপার্জন সম্পূর্ণ হালাল নয়। তিনি একটা চুলা  কিনেন তার দোকানের জন্য যেটা  দিয়ে রান্না করা হয়। কিন্তু কিছু কারণবশত তার সেই চুলা  এখন আর প্রয়োজন নেই এবং আমাদেরও এরকম একটা চুলার প্রয়োজন ছিল  তাই তিনি সেটি আমাদের উপহার হিসেবে দিয়ে দেন। সেই চুলাটি তিনি কিছুদিন ব্যবহার ও করেছিলেন। তার উপার্জন যেহেতু হালাল নয় তাই আমি তার এই চুলা  উপহার হিসেবে নিতে চাচ্ছি না এর জন্য আমি তাকে ১৭০ টাকা দেই এবং আমার আম্মু অন্যভাবে আরও ১০০ টাকা দেন মোট ২৭০ টাকা দেওয়া হয়। এই চুলার বাজার মূল্য   ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা হবে আমার আম্মু  বলেছিল । তিনি চুলাটা কত দিয়ে এনেছেন তা আমরা জানি না । এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই চুলা বাবদ তাদের যে ২৭০ টাকা দেওয়া হলো এ মর্মে যে এ টাকা দিয়ে আমরা তার থেকে চুলা ক্রয় করে নিয়েছি যদিও সে টাকাটা নিতে চাইনি তাকে জোর করে দেয়া হয়েছে এখন আমার  ক্রয় কি হালাল ভাবে হয়েছে।

২।আমাদের বাসার খাদিমা ভালোমতো কাজ করেন না ঘর  ভালোমতো পরিষ্কার হয় না এখনো দেখা যায় কোন রুম না মুছেই চলে যায়। যখন রাখা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল তার তিন রুম মুছতে হবে এবং আমাদের ঘরের সবার কাপড় দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে তাকে দিয়ে দুই রুম মোছানো হয় এবং আমি বাদে আমাদের ঘরের মানুষের কাপড় সে ধুয়ে থাকে রেগুলার। কখনো কোন কারণবশত হয়তো আমার কোন কাপড় মামার ঘরটা সে মুছে এটা খুবই কম মাসে একবার কয়েক মাসে একবার। আজকের দুই দিন সে আমাদের বড় রুমটা মুছেনি। আম্মু আজকে সকালে বলছে আজকেও সে বড় রুম মুছেনি। তার এ কথার প্রেক্ষিতে আমি আম্মুকে বললাম তাকে কাজের রাখার সময় তো তিন রুম মোছার কথা বলা হয়েছিল তারপরও সে কাজে এরকম করে এখন আমার এই কথা বলাটা কি গীবত হল।
৩।আমি দুইটা টিউশন করি। অনেক সময় দেখা যায় স্টুডেন্টদের কখনো কম সময় পড়ানো হয় কখনো দেখা যায় বেশিও পড়ানো হয় এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেদিন কম পড়াচ্ছি বা সময় কম দিচ্ছি সেদিন কি তার হক নষ্ট হচ্ছে এখন আমার কি সেই দিনের জন্য তাদের অতিরিক্ত সময়  দিয়ে পরিয়ে দেওয়া দরকার। উল্লেখ্য যে অনেক সময় এরকম দেখা যায় কোন স্টুডেন্ট পড়তে আসতে দেরি করে আমি বলার পরও তারা আসতে দেরি করে সে ক্ষেত্রে ঐ দিন যদি কম পড়ানো হয় এটার জন্য কি আমার অতিরিক্ত পরিয়ে দিতে হবে।

৪।আমি একটা ছোট বাচ্চাকে পড়াই ও লেখা শিখছে নতুন।ওর আম্মু বলেছিল ওর উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করতে না পড়াশোনার ক্ষেত্রে ও খেলাধুলা করে হাসিমুখে যতটুকু পারে করবে এমনকি সময়ও নির্ধারণ করে দেয়নি। এখন আমি যদি ওকে কখনো কম সময় দিয়ে পড়াই সেই ক্ষেত্রে কি ওর হক নষ্ট হবে।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার ফুফার উপার্জন সম্পূর্ণ হালাল নয়, আপনি আপনার ফুফার কাছ থেকে যে চুলা ক্রয় করেছেন, সেই চুলা আপনি এখন ব্যবহার করতে পারবেন।


(২)
বুয়া সম্পর্কে এভাবে কথা বলা আপনার গিবত হবে না। তবে একটা জিনিষ খেয়াল করেন, আল্লাহ মানুষকে কাজ করে জীবনাতিপাত করার জন্য বানিয়েছেন।
আল্লাহ কওমে সামুদের শারিরিক গঠন ও শক্তির প্রশংসা স্বরূপ বলেন,
وَكَانُوا يَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا آمِنِينَ
তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।(সূরা হিজর-৮২)


সুতরাং নিজ ঘরের কাজ নিজেই করবেন। এতেকরে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।


(৩)
নিজ পক্ষ্য থেকে কখনো কম সময় পড়ালে পরবর্তী সময়ে পূর্ণ করে দিতে হবে।তবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে কম হলে, তখন কিন্তু আপনাকে পরবর্তীতে পূর্ণ করে দিতে হবে না।

(৪)
এই ছাত্রকে কমবেশ করে পড়াতে পারবেন, যেহেতু তার মায়ের অনুমোদন তাতে রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...