ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
তাহিয়্যাতুল ওজুঃ-
আদ্দুর্রুল মুখতার(২/২২) গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
في الدرالمختار ،ج:٢ ص:٢٢
(وَنُدِبَ رَكْعَتَانِ بَعْدَ الْوُضُوءِ) يَعْنِي قَبْلَ الْجَفَافِ كَمَا فِي الشُّرُنْبُلَالِيَّة عَنْ الْمَوَاهِبِ
ওজুর পর ওজুর পনি শুকানোর পূর্বে দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাহিয়্যাতুল অজুর আ'মলের বিশেষত্বের কারণেই অন্যান্য সাহাবীর মধ্যে শুধুমাত্র বেলাল রাযিই এই ফযিলত অর্জন করে নিয়েছেন। অন্য কোনো আ'মলের কথাতো বিশেষভাবে জানা যায়নি।
(২) বিতর নামাজ যদি রেখে দেয়া হয় শেষ রাতে তাহাজ্জুদ এর পর পড়ার জন্য, তখন যদি সেই রাতে উঠা না যায় , তখন ফজরের ওয়াক্তে উঠলে, ফজরের সুন্নাহ এর আগে প্রথমে বিতর আদায় করে নিতে হবে।
(৩) কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাযা হলে সেটা পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের আগেই কি পড়তে হবে? তা নির্ভর করবে, ঐ ব্যক্তির সাহেবে তারতীব হওয়া না হওয়ার উপর।যদি সাহেবে তারতীব না হয়, তাহলে কাযা নামায প্রথমে পড়া শর্ত নয়।, হ্যা পড়ে নেয়াই উত্তম। আর সাহেবে তারতীব হলে কাযা নামাযকে অবশ্যই ওয়াক্তের নামাযের পূর্বে আদায় করতে হবে, নতুবা ওয়াক্তের নামায আদায় হবে না।