জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
فَالۡیَوۡمَ نُنَجِّیۡکَ بِبَدَنِکَ لِتَکُوۡنَ لِمَنۡ خَلۡفَکَ اٰیَۃً ؕ وَ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ عَنۡ اٰیٰتِنَا لَغٰفِلُوۡنَ ﴿۹۲﴾
সুতরাং আজ আমরা তোমার দেহটি রক্ষা করব যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় মানুষের মধ্যে অনেকেই আমাদের নিদর্শন সম্বন্ধে গাফিল।
(সুরা ইউনুস ৯২)
এখানে ফিরআউনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে যে, জলমগ্নতার পর আমি তোমার লাশ পানি থেকে বের করে দেব যাতে তোমার এই মৃতদেহটি তোমার পরবর্তী জনগোষ্ঠীর জন্য আল্লাহ তা'আলার মহাশক্তির নিদর্শন ও শিক্ষণীয় হয়ে থাকে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ক, তাফসীরে তাবারী কিতাবে এসেছে যে কাতাদা রহঃ বলেন, সাগর পাড়ি দেবার পর মূসা আলাইহিস সালাম যখন বনী ইসরাঈলদেরকে ফিরআউনের নিহত হবার সংবাদ দেন, তখন তারা ফিরআউনের ব্যাপারে এতই ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল যে, তা অস্বীকার করতে লাগল এবং বলতে লাগল যে, ফিরআউন ধ্বংস হয়নি। আল্লাহ তা'আলা তাদের সঠিক ব্যাপার প্রদর্শন এবং অন্যান্যদের শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে একটি ঢেউয়ের মাধ্যমে ফিরআউনের মৃতদেহটি তীরে এনে ফেলে রাখলেন, যা সবাই প্রত্যক্ষ করল। [তাবারী]
সুতরাং ১৮৯৭ সালের আগেই বনি ইসরাইলদের সামনেই ফেরআউনের লাশ ভেসে উঠেছিলো।
খ,
এক্ষেত্রে লাশ ভেসে না উঠলেই যা তাহা আল্লাহ তায়ালা সংরক্ষণ বিষয়টি তো এমন নহে।
গ,
এসব প্রশ্নে যেহেতু দ্বীন ও দুনিয়ার ফায়েদা নেই,তাই তাহা হতে বেঁচে থাকাই কাম্য।