ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি কিছু করার না থাকে, কোনো উপায় না থাকে, তাহলে বাধ্য হয়ে সুদ-ঘুসের টাকা দিয়ে আপাতত আলিম পড়া যাবে। তবে পরবর্তীতে ঐ টাকাগুলোকে অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।
(২) পড়াশোনা ও ঘরে বসে হালাল চাকুরির পাশাপাশি মাতাপিতা/ স্বামীর খেদমত করলেই একজন নারী খুব সহজেই বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবে।
(৩) যদি সামর্থ্য না থাকে বা স্টুডেন্ট হিসেবে শুধু অল্প কিছু পকেট খরচ থাকে,তাহলে অল্প কিছু টাকা দিয়েই দান-সদগাহ্ করা উচিৎ। সেটা ফকির মিসকিনকে দিয়ো দিতে পারেন অথবা মাদরাসার গরীব ফান্ডে জমা দিয়ে দিতে পারেন।
(৪) ভুল করে যদি না চাইলেও খাবার নষ্ট হয়ে যায়, যেমন বেশি ভাত/তরকারি রান্না করে ফেলার পর দেখাগেলো যে না চাইতেও নষ্ট হলো,তাহলে এই অতিরিক্ত খাবার কোনো গরীব মিসকিনকে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।গরীব মিসকিন পাওয়া না গেলে তখন ঐ খাবার কোনো প্রাণীকে খাইয়ে দিতে হবে।
(৫)দুনিয়ার জীবনে বড় কোনো পদে চাকুরী হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা পাপ হবে না।তবে ইসলামী বিধানের উল্টো কোনো কিছু করা যাবে না।
(৬)কেউ যদি হারাম সম্পর্ক হতে বেরিয়ে আসে তওবা করে, এবং বিপরীত মানুষটা যদি অনেক বেশি আকুতি মিনতি করার পরেও শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়,তাহোলে বদদোয়া বা অভিশাপ লাগার কোনো প্রশ্নই আসে না।বরং যিনি হারাম সম্পর্ককে ত্যাগ করে আসবেন, উনার কল্যাণই কল্যাণ হওয়ার কথা।