আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আমি জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থী এবং আমার স্বামী মাদ্রাসার ব্যাকগ্রাউন্ডের। দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে মাদ্রাসার ছাত্রকে বিয়ে করা। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকে তার নানা রকম উদ্ভট চাহিদা শুরু হয়। সে দেশের বাইরে থাকে।সে চাই,সে যখন দেশে আসবে আমরা অন্য দম্পতির সাথে রাত কাটাব। অর্থাৎ ঐএক্সচেঞ্জ হব।আমি এসবে সম্মতি দেয়নি।তবে সে কিছুদিন এসব বন্ধ করে পুনরায় আবার এসব বলা শুরু করে। এবার দেশ থেকে যাওয়ার পর এসব আরও বেরে যায়।এসব নিয়ে কথা বললে সে আমার সাথে ঠিকমত কথা বলেন না হয় বলে না। আমি তার সাথে কথা বলার জন্য মাঝে মাঝে এই সবে রাজি হই। আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষকে এসব বললে তারা কখনো বিশ্বাস করবে না।

আমি এই সবে রাজি না হওয়ায় সে এখন বিভিন্ন মেয়ের সাথে কথা বলে। তাই আমি অন্য একটা মেয়ের নামে ফেইক আইডি খুলে তার সাথে কথা বলি।সে জানে না এটা যে আমি।

১// এক্ষেত্রে আমার কি গুনাহ হবে তাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তার সাথে কথা বলার জন্য??

২//এবং আমার স্বামীকে কিভাবে এগুলো থেকে বের করতে পারি??

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর এই উদ্ভট চিন্তাভাবনায় সায় দেওয়া আপনার জন্য কখনো জায়েয হবে না। প্রয়োজনে সংসার চলে যায় যাক, তারপরও স্বামীকে খুশী করতে এই সব হারাম কাজ করা যাবে না।

(১) তাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তার সাথে কথা বলা আপনার উচিৎ হবে না।

(২)আল্লাহ আপনার স্বামীকে হেদায়ত দান করুক।আমীন। যদি সে এই সব গোনাহ থেকে ফিরে না আসে, তাহলে তখন আপনি তালাক গ্রহণ করে নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...