আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি বর্তমানে পরাশুনা করছি একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে CSE DEPARTMENTএর প্রথম বর্শে।
এর পাশাপাশি একটি  LG শোরুমে পাট-টাইম জব এর অফার পেয়েছি। বেতন মাসে ৫,০০০৳ সেল বারলে বেতন বারিয়ে দিবে।

যেহেতু শোরুমে তেমন কাজের প্রেশার নেই তাই পাশাপাশি অনলাইনে SEO & WEBSITES Development এর উপর কাজ শিখেছি এখন ফ্রিল্যান্সিং এর চেষ্টা করছি,এবং Affiliate marketing নিয়ে কাজ শিখা শুরু করেছি।

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ মেহের বানী তে আমি ইসলামের হুকুম আহকাম মেনে চলার চেষ্টা করছি।

আমার ইচ্ছে হলো যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে নেয়া,নয়তো এখন যে সকল ফেতনা দুনিয়ায় বিরাজ করছে তা থেকে নিজেকে সংযত রাখা কষ্ট কর হয়ে যাচ্ছে,

যেই সকল ফেতনায় যুক্ত হওয়ার আশংকায় থাকছি, বিয়ে তার একটি উত্তম সমাধান হতে পারে।তাছাড়া আল্লাহর হুকুম ও পালন করতে পারছি।

নিজেকে মানসিক ভাবে সাপট দেয়ার মতো আপন কেউ বুঝবান নেই।বড় ভাইরা ৩জন বিদেশে আছেন,আথিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে,তবে এখন ভাইরা যার যার টাকা নিজেদের মতো সেফ করছে এবং আমার পরাশুনার খরচ দিচ্ছে,

***

কলেজে পড়া অবস্থায় আমার ক্লাসেই একজন মেয়ে কে দেখতাম খুব ভালো ভাবে নেকাপ মেন্টেইন করতো এবং ছেলেদের থেকে যত টুকু সম্ভব দূরে থাকতো এবং এই সব বিষয় গুলা এরিয়ে চলত,তবে মাঝে মধ্যে স্যার মেম দের সাথে কোথাও ঘুরতে যেতে দেখেছি পরদা মেন্টেন করে।।

তার চলাফেরা দেখে তাকে মনে মনে ভালো লাগত, তবে কখনো প্রকাশ করিনি,।

লাস্ট কিছু দিন আগে সে অসম্ভব অসুস্থ হয়ে যায় এবং আমি তা শুনে তার খবর নেয়ার চেষ্টা করি,পরে আলহামদুলিল্লাহ সে ভালো হয়,তখন তার আম্মুর সাথে আমার কথা হয়েছিলো।  কোন একটি বিষয় নিয়ে পরে কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো এবং আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই,সরাসরি না একটু গুরিয়ে পেচিয়ে, যেহেতু তাকে দুই বছর কাছ থেকে দেখেছি,তার চলাচল সমন্ধে আমি অল্প হলেও জানতাম।

পরে সে আমার অবস্থা বিবেচনা করে প্রস্তাবে রাজি হয়,বলে এখন বিয়ে করে নিলে সে তার বাসায় থাকবে এবং আমার পরাশুনা শেষ হলে ঢাকায় চাকরি হলে তখন ঢাকায় বাসা নিয়ে তাকে সেখানে নিয়ে যাবো, পড়াশুনা অবস্থায় আমার যাতায়াত থাকলো তার বাসায়,এবং সে তার ফেমিলি কে রাজি করাতে পারবে,সেটা সে বল্লো।
আমার ইচ্ছে হলো গ্রামের বারিতে থেক্বি রিমোট জব করবো পাশাপাশি নিজের ব্যবসা দার করাব,তখন তার জন্য প্রয়োজন হলে আলাদা বাসা নিব এবং তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো। এই বিষয় এ তাকে কিছু বলিনি
আমার জন্য তার প্রস্তাব টি খুব উপকারী মনে হচ্ছে,কারণ এখন

যেহেতু আমার পরিবার যৌথ পরিবার, আমার জন্য যদিও একটি রুম আছে তবে আলাদা বাথরুম নেই,পাশাপাশি সব ভাইদের রুম একি ঘরের মধ্যে, তাকে আমার এখানে এখন আনলে পরদা মেন্টেন করা তার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবেএবং তাকে উত্তম পরিবেশ দিতে পারবো না।,কারণ আমার ফেমিলির অন্য ভাবিরা পরদার ব্যাপারে সচেতন না।যদিও তারা নামাজ পরে আবার মাঝে মধ্যে পরে না,

আমার পরিকল্পনা হলো যেহেতু আমি শোরুমে জব করার সুযোগ পাচ্ছি এর পাশাপাশি যদি অনলাইন থেকে প্রতি মাসে অল্প পরিমানে ও টাকা উপাজন করতে পারি তাহলে তাকে বিয়ে করে নিব এই দিকে আমার পরাশুনার খরচ বহন করতে পারবো এবং তার ভরনপোষণ এর দাইত্ত নিতে পারব।,১০-২০জন লোক নিয়ে গিয়ে,পরে যখন ইনশাআল্লাহ  আমার টাকা হবে তখন সব খরচ দিয়ে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে নিয়ে আসবো।

আমি চাই পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের চরিত্র কেও ঠিক রেখে ইসলামের হুকুম গুলো কে মেনে চলতে,
যেহেতু আমরা দুজন এখন একে অপরের জন্য গায়রে মাহরাম,তাই আমাদের মধ্যে রেগুলার তেমন কোন যোগাযোগ নেই, আমরা নিজেদের কে শয়তানের পরচনা থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করছি।
কলেজে পরা অবস্থায় তার ফেস দেখিনি, কিন্তু প্রস্তাব এর পর আমার আম্মু কে দেখানোর জন্য তার কিছু হিজাব পরিহিত ছবি চেয়ে নেই,যদিও সে দিতে চাচ্ছিল না আম্মুর কথা বলাতে দিয়েছে,

সেই ছবি গুলা দেখে আমি আবার ডিলিট করে দিয়েছি,।

সেও তার পরাশুনা নিয়ে ব্যাস্ত আমিও আমার পরাশুনা কাজ নিয়ে ব্যাস্ত।

সে আমায় মোহ রানা পরিমান ও কমিয়ে দিয়েছে,এবং আমায় এই পাট-টাইম জব নেয়ার ব্যাপারে প্রথমে উৎসাহিত করেছিলো, যদিও এখন যেই জবের অফার পেয়েছি তা সে যানে না।

আমার বয়স এখন ২৪ পরাশুনা শেষ করতে করতে বয়স হবে ২৮ বছর  চাকুরী নিয়ে বিয়ে করা অনেক সময় সাপেক্ষ হয়ে যাবে,তাই আমি চাচ্ছি বিয়ে করে আল্লাহর হুকুম আহকাম কে মেনে সামনে আগানর,আর এর দ্বারা আমার কাজের অগ্রগতি আরও ভাল হবে।

 আপনার পরামর্শ চাচ্ছি

এই বিষয়ে পরিবারের সাথে কীভাবে কথা বলতে পারি সেই বিষয়ে ও পরামর্শ চাচ্ছি,

যদি বিয়ে করি তাহলে কোন কোন বিষয় গুলো কে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি
বিয়ে যদি করি তাহলে বউকে প্রতি মাসে কি পরিমান টাকা দিতে হবে? যেহেতু সে তার বাসায় থাকবে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।
যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আল্লাহ তাআলা বলেন-

 

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ

 

পুরুষেরা নারীদের অভিভাবকঐ (বিশেষত্বের) কারণেযার দ্বারা আল্লাহ তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং ঐ সম্পদের কারণেযা তারা ব্যয় করেছে। সুতরাং সৎ নারীরা হল অনুগত, (স্বামীর) অবর্তমানে (নিজের সতিত্ব ও স্বামীর সম্পদ) রক্ষাকারীআল্লাহ রক্ষা করার কারণে ... -সূরা নিসা : ৩৪

 

এখানে  قَوَّامُونَ  -এর তরজমা করা হয়েছে ‘অভিভাবক’ মুফাসসিরীনের ব্যাখ্যামতে তা হচ্ছে,

 

শাসন ও ব্যবস্থায়ন এবং রক্ষা ও নিরাপত্তাবিধানের মাধ্যমে নারীর দেখভাল করা এবং আদেশ ও নিষেধের মাধ্যমে তার অবস্থার সংশোধন করাযেমন শাসকগণ প্রজাসাধারণের দেখভাল করে। তো পুরুষ হচ্ছে নারীর প্রধান ও উপরস্থ;নারীর শাসক ও সংশোধকযদি সে বেঁকে যায়।-আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮আহকামুল কুরআন ইবনুল আরাবী ২/৪১৬তাফসীরে কাশশাফ ১/৫০৫তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/৪৯১

 

এই আয়াতে স্ত্রীর উপর স্বামীর অভিভাবকত্বের দুটো কারণ বলা হয়েছে : প্রথমত দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য ও বিচার-বিচক্ষণতার মতো গুণাবলিদ্বিতীয়ত মোহরানা ও ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয়বহন।

 

এই আয়াতে ‘পুরুষের ব্যয়কৃত সম্পদ’ মানে স্ত্রীর মোহরানাখোরপোষ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচকুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী যা বহন করা অবশ্যকর্তব্য। এ আয়াত প্রমাণ করেস্ত্রীর নাফাকা ও খোরপোষ স্বামীর উপর ফরয। -তাফসীর ইবনে কাছীর ১/৪৯২আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

 

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেনতিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যেতোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত১/৬০৪)


আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা যেহেতু বিষয়গুলি অনেকটাই জানেন,তাই মাকে দিয়ে বাবাকে আপনার বিবাহের প্রয়োজনীয়তার বিষয় জানাবেন।

অথবা বোন/দাদি/নানি/ফুফু ইত্যাদি কাউকে দিয়ে আপনার বাবাকে বুঝাবেন।

আপনার বাবা আপনার বিবাহের প্রয়োজনীয়তার বিষয় বুঝলে সেক্ষেত্রে ঐ মেয়ের বিষয়ে আলোচনা করে পারিবারিক ভাবে মেয়ের পরিবারে প্রস্তাব দিবেন।

বিবাহ হলে সেক্ষেত্রে মোহরানা পরিশোধ করবেন,বাকি রাখলে তাহা স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে বাকি রাখতে পারেন।

তার হাত খরচ বাবদ কত টাকা দিতে হবে,তাহা বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
,
যেহেতু সে তার বাসায় থাকবে,তাই শরীয়ত এক্ষেত্রে হাত খরচের জন্য কোনো এমাউন্ট এর উপর আপনাকে বাধ্য করেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...