আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার আগের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে,, বাবার ইনকাম হারাম হলে প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করা যাবে।
আমি এখানে প্রয়োজনে অর্থটা বুঝতে চাই। মনে করুন একটা জিনিস হলেও চলে না হলেও চলে। যেমন : আমার ক্ষুদা লেগেছে। আমি চাইলে খুব কষ্ট করে না খেয়ে থাকতে পারি। আবার কম খেয়েও কষ্ট করে থাকতে পারি।এখন আমার জন্য কি উচিত হবে যে বাবার টাকা খাবার না পেট ভরে না খেয়ে পেটে ক্ষুধা রেখে খাওয়া। অথবা দিনে তিনবার চারবার খাওয়ার পরিবর্তে পরিবর্তে এক দুইবার খেয়ে থাকা। প্রয়োজন বলতে কি এটাই বোঝানো হয়েছে?? একইভাবে ঘুমানোর সময় আমি চাইলেই বালিশ, কোলবালিশ,, কাঁথা এগুলো ছাড়াই ঘুমাতে পারি। এগুলো তো আমার হলেও চলে না হলেও চলে। একইভাবে আমি ফোন ব্যবহার করি, ফোনে বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক ভিডিও দেখি। এটার মধ্যে কিছু ভিডিও আমার দেখলেও চলে আবার না দেখলেও চলে। না দেখলে হয়তো একটু অসুবিধা হবে। কিন্তু তারপরও ম্যানেজ করে চলা যায়।এখন আমি কি এগুলো দেখবো না একইভাবে ধরুন আম্মু প্রতিদিন যে খাবারগুলো রান্না করে সেগুলো আমি খেলাম। মাঝে মাঝে আম্মু সন্ধ্যার নাস্তা বানাই, স্পেশাল কিছু খাবার বানায় যেমন: পোলাও,, মাংস বানায়। যেগুলো আমার খেলেও চলে না খেলেও চলে। আমি কি এগুলো খাবো না?? একইভাবে আবার বাবা কখনো শখ করে বাইরে থেকে আমার জন্য নানা রকমের খাবার কিনে আনে।এগুলো আমার জন্য না খেলেও চলে। আমি কি খাবো না? একইভাবে পড়াশোনার জন্য খাতা কলম দরকার হয়,, বই দরকার হয়। এগুলো কখনো কখনো খুব বেশি একটা জরুরি দরকার হয় না। তবে হলে ভালো হয়,, না হলেও হালকা পাতলা অসুবিধা হয়। এ সকল ক্ষেত্রে আমার কি করা উচিত?? আমি কি এগুলো সব থেকে বিরত থাকবো??? পপ্রয়োজন কথাটার ব্যাপক অর্থ বুঝতে চাইছি। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো দৈনন্দন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো না হলে অসুবিধা হয়। তবে অসুবিধা গুলোর জন্য যে মরে যেতে হয় বিষয়টা তা না। তবে চলতে ফিরতে কষ্ট হয়। তো আমার কি উচিত হবে বাবার টাকা থেকে এগুলো ব্যয় না করে বরং কষ্ট করে থাকা? আরেকবার আমি বিষয়টি বলছি..বাবা আমার জন্য বাইরে থেকে নানা রকম খাবার কিনে আনে। এগুলো কি আমি খাবো না?? এগুলো খাওয়ার সময় আমার বাড়ির কাজের মহিলারা থাকে,, তাদেরকে না দিয়ে খাওয়া যায় না। আমি কি তাদেরকে দেবো না?? দয়া করে আমাকে স্পষ্ট করে উত্তর দিবেন।
২.আমার আগের আগের প্রশ্নের উত্তরে সম্মানিত মুফতি সাহেব যা বলেছেন আপনি কপি করছি নিচে.......
ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করলে ইনকাম হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে লোন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত লোনের টাকায় কৃত ব্যবসার পুরোটা হালাল থাকবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে আপনি আপনার বাবার ইনকাম থেকে ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেন।
প্রয়োজনের চাইতে বেশি খরচ করা যাবে।
আপনি ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেন।
আর যদি আপনার বাবা হারাম টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত লোনের টাকায় কৃত ব্যবসার ইনকাম পুরোটা হারাম হবে।
এক্ষেত্রে আপনি মেয়ে বা নাবালেগ ছেলে হলে আপনার বাবার ইনকাম থেকে ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবেননা।
প্রয়োজনের চাইতে বেশি খরচ করা
কিন্তু কিন্তু শায়খ আহমদুল্লাহ উনি বলছেন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করলেই তা হারাম হবে। ইউটিউবে ভিডিও লিংকটা দিচ্ছি,,
https://youtube.com/shorts/FhQegAWa3Jw?si=sxRZzAWlLfT9BHwM
এখানে তো অন্য কথা বলছে। তাহলে আপনাদের উত্তর কি ভুল হয়েছে কোথাও। একটু দেখবেন প্লিজ।
3.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার বাবা ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে টিনের ব্যবসা করে। তিনি নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন.......
ইসলামী ব্যাংক সরাসরি নগদ টাকা দেয় না। আমার বাবা যে কোম্পানির সাথে ব্যবসা করে,বাবা যদি সেই কোম্পানি থেকে মাল কিনতে চাই তাহলে ব্যাংকে গিয়ে বলে। ব্যাংক তখন কোম্পানির কাছে টাকা পাঠিয়ে দেয়। তখন কোম্পানি আবার সেই টাকার মাল বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আর বছর শেষে ওই টাকার উপর মুনাফা দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাংক বলছে, তারা যে টাকা মুনাফা নিচ্ছে তার সুদ না। বরং তারা যে মাল কিনে দিচ্ছে ওই মাল কিনে দেওয়া বাবদ বাবার কাছ থেকে লাভ নিচ্ছে।যেমন ভাবে বিক্রেতা লাভ রেখে ক্রেতার কাছে মাল বিক্রি করে সেইভাবে। এ পদ্ধতিটা কি শরীয়ত সম্মত?? বাবা ওই মাল বিক্রি করে ধীরে ধীরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে আর সংসারের খরচ করে এখন আমার বাবার কি হারাম নাকি হালাল?আমি যে তার টাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবো??