বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/84080/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঋণের টাকা মওকুফ করে দিলে যাকাত আদায়
হবেনা।
কেননা যাকাত আদায়ের সময় অথবা যে টাকা যাকাত হিসেবে দেয়া হবে, তা পৃথক করার সময় যাকাতের নিয়ত করা জরুরী।
কোনো সম্পদ কাউকে দিয়ে দেয়ার পর যাকাতের নিয়তের গ্রহনযোগ্যতা
নেই।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
خُذْ
مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ
ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰۳
তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং
আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা,
সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩
★অবশ্য এক্ষেত্রে যাকাত হিসেবে আদায়ের জন্য নিম্নের যেকোনো একটি ছুরত অবলম্বন করা যাবে।
একঃ প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক
না হয় তথা যাকাত গ্রহনের হকদার হয়, সেক্ষেত্রে
আপনি যাকাত প্রদানের জন্য সেই পরিমান টাকা তার হাতে দিয়ে দিবেন। অতঃপর সেই ব্যক্তি উক্ত টাকা হাতে নেয়ার পর আপনাকে ঋন আদায় বাবদ দিয়ে দিবে।
তাহলে ঋনও পরিশোধ হবে, আপনার
যাকাতও আদায় হয়ে যাবে।
দুইঃ উক্ত ব্যক্তি ৩য় কোনো ব্যাক্তি থেকে ঋন সমপরিমাণ টাকা করজ
নিয়ে আপনাকে দিয়ে ঋন শোধ করবে, অতঃপর আপনি তাকে
সেই টাকা যাকাত আদায় বাবদ দিয়ে দিবেন। তাহলে আপনার যাকাত আদায় হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ধার এর টাকা পাওয়ার আশা না থাকলে সে ক্ষেত্রে ধার দেয়া ব্যক্তির
পক্ষে করণীয় হলো প্রয়োজনে মুরব্বিদের সহায়তা নেয়া বা আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা। সর্বপরি
ইহকালে টাকা শোধ না করলে আর আপনি তাকে মাফ না করলে সেক্ষেত্রে কিয়ামতের ময়দানে তার
ছওয়াবের অংশ আপনি পাবেন।