আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

আমি একজনকে ২৫হাজার টাকার মত ধার দিয়েছি সে আমাকে ২বছর ঘোরানোর পর টাকাটা দিচ্ছে না আর আশাও নেই যে সে ফেরত দিবে,এরকম আরো অনেক লোক কে আমি টাকা ধার দিয়ে ফেরত পাই নাই।আমি জানতে চাচ্ছি যে টাকা গুলো ধার দিয়েছি আর ফেরত পাবো না সে টাকাগুলো কি আমি ওই লোককে যাকাত হিসেবে দিয়ে দিতে পারবো? আর দিলে কি আমার ওই বছর এর যাকাত দেয়া হবে?আর যাকাত হিসেবে দেয়া না গেলে আমার করনীয় কি? এই টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/84080/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঋণের টাকা মওকুফ করে দিলে যাকাত আদায় হবেনা।

 

কেননা যাকাত আদায়ের সময় অথবা যে টাকা যাকাত হিসেবে দেয়া হবে, তা পৃথক করার সময় যাকাতের নিয়ত করা জরুরী।

কোনো সম্পদ কাউকে দিয়ে দেয়ার পর যাকাতের নিয়তের গ্রহনযোগ্যতা নেই।

 

আল্লাহ তাআলা বলেন-

خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰۳

তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩

 

অবশ্য এক্ষেত্রে যাকাত হিসেবে আদায়ের জন্য  নিম্নের যেকোনো একটি ছুরত অবলম্বন করা যাবে।

 

একঃ প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয় তথা যাকাত গ্রহনের হকদার হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যাকাত প্রদানের জন্য সেই পরিমান টাকা তার হাতে দিয়ে দিবেন। অতঃপর সেই ব্যক্তি উক্ত টাকা হাতে নেয়ার পর আপনাকে ঋন আদায় বাবদ দিয়ে দিবে।

তাহলে ঋনও পরিশোধ হবে, আপনার যাকাতও আদায় হয়ে যাবে।

 

দুইঃ উক্ত ব্যক্তি ৩য় কোনো ব্যাক্তি থেকে ঋন সমপরিমাণ টাকা করজ নিয়ে আপনাকে দিয়ে ঋন শোধ করবে, অতঃপর আপনি তাকে সেই টাকা যাকাত আদায় বাবদ দিয়ে দিবেন। তাহলে আপনার যাকাত আদায় হবে।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 

ধার এর টাকা পাওয়ার আশা না থাকলে সে ক্ষেত্রে ধার দেয়া ব্যক্তির পক্ষে করণীয় হলো প্রয়োজনে মুরব্বিদের সহায়তা নেয়া বা আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা। সর্বপরি ইহকালে টাকা শোধ না করলে আর আপনি তাকে মাফ না করলে সেক্ষেত্রে কিয়ামতের ময়দানে তার ছওয়াবের অংশ আপনি পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...