আসসালমুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহ ওয়া বাাকাতুহু,
শায়েখ কিছু সময় আগের ঘটনা , আমি বিষয় টা সংক্ষেপ এ তুলে ধরছি, আমাকে দয়া করে জানাবেন কটা তালাক হয়েছে? আমি ভবিষ্যত্ এ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য জানতে চাই
১. সত্যি বলতে আমি জানতামই না যে একবার তালাক বললে তালাক হয় । আমার এই সম্পর্কে কোনো ধারনাই ছিল না, ভাবতাম একবার তালাক বললে কিছুই হয়না এই রকম ভাবনা ছিল,
আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার ঝামেলা সৃষ্টি হয়, এবং ফোনে আমি আমার স্ত্রী কে রেগে ১ তালাক বলে ছিলাম । এবং স্ত্রী কে বলছি, তুমি ভেবোনা রাগ করে বলছি , যা বলছি সত্যি সত্যি বলেছি, এবং স্ত্রী কে বলছিলাম , তুমি কেমন মানুষ যে তোমাকে তালাক দিতে হয়। একটা মেয়ের জীবনে এর থেকে কি দুঃখের কিছু হতে পারে। আরো কিছু কথা বলেছি । আসলে আমি ভেবেছি ১ তালাক বললে কিছুই হয় না।তার পর আমি তালাকের মাসায়েল ইউটিউব এ দেখতে শুরু করেছি, ইউটিউব এর ভিডিও গুলো দেখে আমার বড়ই চিন্তা হলো, কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, ঘটনাটা রাত্রিতে ঘটেছে। ইউটিউব এ ভিডিও দেখে ভয় পেয়ে , বড়ই আফসোস এর সঙ্গে স্ত্রী কে বলছি সব শেষ হয়ে গেলো , আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো, কি করবো এখন । এই সব চিন্তা করতে থাকি, পরবর্তী তে আমার কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না, বড়ই ভয়, আফসোস এর সঙ্গে বলছিলাম । এবং আমি মুফতী সাহেব কে প্রশ্ন ও করেছিলাম কি ভাবে আমি আমার স্ত্রী কে ফিরে পাবো । আমি তখন মুফতি সাহেব এর কোনো জবাব পায়নি। আবার ইউটিউব দেখি , যে স্ত্রী কে কি ভাবে ফিরে পাবো। তখন ও আমি ভাবছি আমাদের হয়ত তালাক হয়নি, হায়েয অবস্থায়, রেগে এই সব এ তালাক হয়না , এই রকম ভাবনা ছিল, এবং মন কে সান্তনা দেওয়ার জন্য স্ত্রী কে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে মুখের কথার মাধ্যমে ফিরিয়ে নিয়েছি। দিয়ে ভাবনা ছিল হয়ত কোনো তালাক ই হয়নি। ভেবেছিলাম কোনো তালাক ই হয়নি। তালাকের মাসায়েল সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না।
তার পর থেকে আমার খুব আফসোস হতে থাকে, স্ত্রীর অগ্রাহ্য এর জন্য , আমি রাগ করে কি বলে ফেলেছি এই ভেবে খুবই আফসোস হয়। যেহেতু ১ তালাক কথা টা বলেছিলাম পরবর্তী তে স্ত্রী কে আফসোস করে বলেছি তোমার জন্য সব শেষ হয়ে গেলো। আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো। এই সব বলেছি ।পরের দিন , সকালে স্ত্রী কে বলছি , সম্পর্ক ঠিক করো, এখনও সময় আছে, আর না হলে ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না । সকালে , স্ত্রীর সঙ্গে ম্যাসেজ এ কথা হয়, স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছে তুমি কি বাড়িতে যা কিছু ঘটেছে সব বলেছ? তালাকের কথা বলেছ ?? মানে রাতের ঘটনা টা। আমি বলেছি বলেছি মা সমস্ত ঘটনা বলেছি । এবং রেগে বাড়িতে মা কে বলেছি না হলে যা হবে হবে, ছেড়েই দিবো। এবং এটা ও বলেছি আমি বিয়ে করবো তুমি রাজি থাকলেও করবো আর না থাকলেও করবো। তার পর স্ত্রীর সাতে দেখা করতে জাই, আমি স্ত্রীর সাতে কোনো কথা বলিনি , যা বলার আমার স্ত্রী বলছিলো। আমি রাগ করে বাড়ি চলে এসেছিলাম । তার পর স্ত্রী কে হোয়াটসঅ্যাপ এ ২ ঘণ্টার ব্লক ছিল। তার পরের ম্যাসেজ এ লেখা ছিল দেখলাম , এই কথাটা আমি কি উদ্দেশ্যে ম্যাসেজ এ লিখেছিলাম সেইটা মনে পড়ছে না , কথা টা তালাকের নিয়ত এ লিখেছিলাম নাকি যেহেতু আগে ১ তালাক এই কথাটা বলেছি সেই জন্য কি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো নাকি সেই , সেই চিন্তাতে আফসোস করে কথা টা বলেছি, সেই টা মনে নেই।
পুরো ম্যাসেজ এর চ্যাট টা পড়ে এটা মনে হলো, যেহেতু আগে ১ তালাক বলেছিলাম , তাই আমার মনে ভাবনা হচ্ছিলো এমন কথার জন্য আমাদের সম্পর্ক মনে হয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে হয়ত । এই রকম চিন্তা হয়েছিল, তাই ম্যাসেজ এ আফসোস করে লেখা ছিল,
"আমাদের এই সম্পর্ক শেষ হলো , তুমি সব ছেলে খেলা করে নিয়ে ছিলে,
[আমি তো ভেবে আসছি কোনো তালাকই হয়নি, আসলে তার পর আমি ভালো করে আবার তালাকের মাসায়েল দেখতে থাকি, দিয়ে হয়ত কিছু বুঝতে পেরে আফসোস করে এমন কথা বলেছিলাম]
এবং আমার স্ত্রী র ম্যাসেজ এর জবাব ছিল , এই সব কিছু হবে না গো জান । মুফতি সাহেব কি উত্তর দিয়েছে? আমি বলেছি না , এখনও জবাব পায়নি "
আমার মনে হচ্ছে যেহেতু আমি আগে ১ তালাকের কথা বলেছিলাম , তাই আফসোস করে এই কথা টা লিখেছিলাম । পরবর্তী তে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
***তার পর আমি ও আমার স্ত্রী তালাক এর মাসায়েল সম্পর্কে একটু ভালো করে জেনে বুঝে, ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে আমি আমার স্ত্রীর কে সহবাসের মাধ্যমে ও মৌখিক ভাবে ফিরিয়ে নিয়েছি। দুঃখ করে বললাম, সবাই কত ভালো থাকে আর আমাদের কত সমস্যা হলো। সবাই বলবে ১ তালাকের বউ এই সব বলবে। দুঃখ করে আফসোস করে বলছিলাম । কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না।
আমি জানতে চাইছি কটা তালাক হয়েছে??
১.১ স্ত্রী কে বলেছিলাম আমাকে নিয়ে তোমার সমস্যা হলে ছাড় পত্র বা ছাড় ফার করে নাও। ( এর জন্য কি তালাক হবে?)
পরে জানতে পারি এই রকম কথা তে স্ত্রী তালাক অধিকার পাই। তাই আমি স্ত্রী কে বলে আবার মৌখিক ভাবে অধিকার