বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যালিমের বিপক্ষে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা বা দু'আ করা এবং আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক যুলুম এর প্রতিশোধের অপেক্ষা করা, সবই বৈধ রয়েছে, এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবেনা। তবে সর্বাবস্থায় ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।কেননা নবী কারীম সাঃ সর্বদাই ক্ষমা করে দিছেন, যেমন হাদীস শরীফে এসেছে....
ﺻﻞ ﻣﻦ ﻗﻄﻌﻚ ﻭﺃﺣﺴﻦ ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﺃﺳﺎﺀ ﺇﻟﻴﻚ ﻭﻗﻞ ﺍﻟﺤﻖ ﻭﻟﻮ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻚ
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত, তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং সৎদ্ব্যবহার কর তার সাথে যে তোমার সাথে মন্দ ব্যবহার করেছে,এবং সত্য কথা বল যদিও তোমার নিজের বিরুদ্ধে হয়।(জামে সগির-৪৯৮৭)
ﻭﻗﺪ ﺑﻮّﺏ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱّ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺤﻪ ( 2/864 )
ইমাম বুখারী রাহ ক্ষমা সম্পর্কে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় উনার অমর গ্রন্থ সহীহ বুখারী শরীফে প্রতিস্থাপন করে তথায় তিনি কয়েকটি আয়াত সংস্থাপন করেছেন।যেমনঃ-
" ﺑﺎﺏ ﻋﻔﻮ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﺇِﻥ ﺗُﺒْﺪُﻭﺍْ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﺃَﻭْ ﺗُﺨْﻔُﻮﻩُ ﺃَﻭْ ﺗَﻌْﻔُﻮﺍْ ﻋَﻦ ﺳُﻮَﺀٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻔُﻮًّﺍ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ ) (ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 149)
তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। (সূরা নিসা-১৪৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ) (ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 40)
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না।(৪২/৪০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতিশোধ গ্রহণ না করে বরং ক্ষমা করে দেয়াই উচিৎ ও উত্তম। তাদেরকে মিথ্যা মামলার ক্ষতিপূরণ দাবী করবেন। এবং পূর্ণ ৪ লাখ টাকাই দিয়ে দিবেন।ক্ষতিপূরণ বাবৎ যা হয়, সেটা আলোচনা সাপেক্ষে উভয় পক্ষের সম্মতিতে কর্তন করে রেখে দিতে পারবেন।