ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/22943/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
ফরজ নামাজ ত্যাগ করা অনেক বড় গুনাহের কাজ। মুসলিমদের জন্য নামাজ
এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এর মাধ্যমেই অমুসলিম এবং মুসলিমের মাঝে পার্থক্য করা হয়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
إن
بين الرجل وبين الشرك والكفر: تركَ الصلاة
অর্থ: ‘নিশ্চয় ব্যক্তি ও কুফুর শিরিকের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে
নামাজ ছেড়ে দেওয়া।’
(★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দাওয়াত ও
তাবলিগের মেহনতের সাথে তাকে যুক্ত করাতে পারেন। কোনো হক্কানী
শায়েখের কাছে পাঠাতে পারেন। হক্কানী শায়েখদের জান্নাত জাহান্নামের বয়ান শোনানোর ব্যবস্থা
করতে পারেন।)
জুমার নামাজ ত্যাগ করার বিষয়টি তো আরো মারাত্মক ব্যাপার। প্রশ্নে
উল্লেখিত পর পর তিন জুমা ছেড়ে দিলে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি হাদিসে আসেনি।
তবে অনেক কঠিন কথা হাদিসে বলা হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
عَمْرٍو، عَنْ عَبِيدَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الْجَعْدِ يَعْنِي
الضَّمْرِيَّ، وَكَانَتْ، لَهُ صُحْبَةٌ فِيمَا زَعَمَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ
ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ "
আবুল জা'দ আয-যমরী মুহাম্মাদ ইবনু "আমরের ধারণানুযায়ী তিনি একজন
সাহাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক
নিছক অলসতা ও গাফলতি করে পর পর তিন জুমুআ ছেড়ে দেয় আল্লাহ তা'আলা তার অন্তরে
মোহর মেরে দেন। সহীহ। তিরমিজি ৫০০ ইবনু মাজাহ– (১১২৫)।
আবূ ইয়া‘লা (রহঃ) বিশুদ্ধ সানাদে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা
করেন যে,
من
ترك الجمعة ثلاث جمع متواليات فقد نبذ الإسلام وراء ظهره.
অর্থাৎ যে ব্যক্তি তিন জুমু‘আহ্ লাগাতার বর্জন করল সে ইসলাম
থেকে নিজেকে দূরে ঠেলে দিলো। (আবূ য়্যা’লা ২৭১২, সহীহ তারগীব ৭৩৩)
حَدَّثَنَا
الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ،
حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ وَبَرَةَ الْعُجَيْفِيِّ، عَنْ
سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
تَرَكَ الْجُمُعَةَ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ فَإِنْ لَمْ
يَجِدْ فَبِنِصْفِ دِينَارٍ " -
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কোনরূপ ওজর ছাড়াই জুমু‘আহর সালাত বর্জন করে সে
যেন এক দীনার সাদাকা করে। এতে সক্ষম না হলে যেন অর্ধ দীনার সাদাকা করে।
(আবু দাউদ ১০৫৩.নাসায়ী (অধ্যায় : জুমু‘আহ, অনুঃ বিনা ওযরে
জুমু‘আহ ছেড়ে দেয়ার কাফফারা),
ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সালাত ক্বায়িম, অনুঃ কেউ বিনা
ওজরে জুমু‘আহ ত্যাগ করলে, হাঃ ১১২৮),
হাকিম (১/২৮০)
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির জন্য করণীয় হলো যে, সে
আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইবে ও তাওবা করবে এবং উক্ত নামাজগুলো কাযা করে নিয়ে
নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে দিবে।
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/