আসসালামু আলাইকুম
১) এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করার জন্য শুনেছি আখিরাতে হাজার হাজার বছর বা লাখ লাখ বছর জাহান্নামে থাকতে হয়। এটা কি সত্য? আর এটা কি বালেগ হওয়ার পর শুধু যে ওয়াক্তের নামাজ কখনো আদায় করা হয়নি তার জন্য নাকি কাযা নামাযের জন্যও । একটু কুরআন হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে বললে উপকৃত হতাম।
১.১) আখিরাতের দিন বা বছর গণনা কি দুনিয়ার ন্যায় হবে?
২) পূর্বে এই https://ifatwa.info/65338/ ফতওয়ায় আমাকে মুফতি ইমদাদুল হুজুর বলেছেন পূর্বের নামাজগুলো কাযা আদায় করে নিতে হবে ধীরে ধীরে। এখন হিসাব অনুযায়ী ±২,৩৪,১৭৫ রাকাআত(আনুমানিক) পড়তে হবে। এখন আমার জন্য এই ফরজ নামাজের কাযা উঠানো বেশি দরকার নাকি বর্তমানে অন্য ওয়াক্তের সুন্নত আদায় করা বেশি দরকার?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যোহর, মাগরিব আর এশাতে কাযা উঠানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু এসকল ওয়াক্তের পুরো নামাজ আদায় করার পর কাজা উঠাতে গেলে নামাজ অনেক দীর্ঘ হয়ে যায়, তাই তখন কাযা আদায় করার ইচ্ছাটা কমে যায়। আর আমি চাই আগের কাযাগুলো দ্রুত আদায় করে নিতে। আর এখানে রাকাআত সংখ্যা সকল কাযা ওয়াক্তের মিলিয়ে (বিতির ব্যতীত) ।
এখন আমি কি এশার বিতিরের ঐ ৭ বছর সময়কালের কাযা উঠাবো? আমি পুরোপুরিভাবে বলতে পারছি না। তখন পাক পবিত্র অবস্থায় আমি কত ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছি, যেহেতু আমি পবিত্রতার ব্যাপারে অজ্ঞ ছিলাম। ( শুধু ২ নং পয়েন্টের মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে ২টি প্রশ্ন করা আছে তাই ২টি প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হতাম)
৩) কেউ যদি অসুস্থ থাকে তখন কি সে চাইলে সুন্নত ও বিতির নামাজগুলো কি ছেড়ে দিতে পারবে? এতে কি গুনাহ হবে? আর এখানে কতটুকু অসুস্থ থাকলে সে নামাজগুলো ছাড়তে পারবে?
৪) ক্লান্ত থাকলে বসে বসে কেউ নামাজ পড়তে পারবে? আমরা যেরকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সময় শেষ বৈঠকে বসে ওরকম ভাবে বসা বা এমনি চেয়ারে বসে বসে পড়া।
৫) যেসকল নামায উচ্চ স্বরে পড়ার বিধান সেগুলোর কাযাও কি উচ্চ স্বরে আদায় করব? আর যদি উচ্চ স্বরে আদায় না করি তাহলে নামাযে কোন সমস্যা হবে?
জাযাকাল্লাহু খাইরান