আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়খ,
১.আমি ১৭/১৮ বছর বয়সে কলেজের বেতন দেওয়ার জন্য আমার মায়ের একাউন্ট থেকে তাকে না জানিয়ে দেওয়া কিছু টাকা তুলেছিলাম পরবর্তী তে হাতে টাকা হলে আবার অই একাউন্টে রেখে দিব ভেবেছিলাম।কিন্তু আমি এই কথা ভুলে গিয়েছিলাম,প্রায় ৭/৮ বছর পর এখন আমার এই কথা মনে পড়েছে।আমার মায়ের একাউন্ট থেকে যা টাকা তুলেছিলাম ইতোমধ্যে তার চেয়ে বেশি টাকা তার আরেকটি একাউন্টে জমা দিয়েছি তবে এই নিয়ত ছিল না যে আগের পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য দিচ্ছি কারন পাওনা টাকার কথা আমার মনেই ছিল না।
**আমার প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি পাওনা টাকা পরিশোধ হয়েছে নাকি আবার পাওনা টাকা পরিশোধ করার নিয়তে নতুন করে টাকা দিতে হবে??আর আমি মাকে আমার পূর্ববর্তী বিশ্বাসঘাতকতা র কথা জানাতে চাচ্ছিনা এম্নিতেই কিছু না বলে তার একাউন্ট এ টাকাটা রেখে দিলে কি পাওনা আদায় হবে?
২.আমরা প্রতিনিয়ত শ্যাম্পু,ভ্যাস্লিন,লোশন, ক্রিম ইত্যাদি প্রসাধনী ব্যবহার করি।কিন্তু এসবের মধ্যে প্রায়শই প্রানীজ চর্বি বা প্রানী দেহ(হালাল না হারাম প্রানী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা জানা যায়না)থেকে তৈরি বিভিন্ন উপাদান থাকে।আর একটা প্রোডাক্টে প্রায়ই ৩০-৪০ টা ক্যামিকেল থাকে সবসময় প্রতিটা ক্যামিকেলের নাম দেখে আলাদাভাবে এগুলো হালাল না হারাম বা পাক না নাপাক এসব নির্ণয় করা রসায়নবিদ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়না।আমরা যদি এই প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করি যাতে আমার অজ্ঞাতসারে কিছু সন্দেহজনক উপাদান মিশ্রিত থাকতে পারে তাহলে কি গুনাহ হবে আর শীতের দিন লোশন মেখে স্বলাত আদায় করলে কি তা আদায় হবে?
*কোনো কোম্পানি যদি দাবি করে তাদের প্রোডাক্ট হালাল তাহলে কি উপাদান লিস্ট চেক না করে বা উপাদান লিস্টে সন্দেহজনক কিছু থাকলেও তা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে??
আফওয়ান প্রশ্ন গুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।
জাযাকুমুল্লাহ খইরন।