بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.
https://ifatwa.info/40968/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
ইসলামের দৃষ্টিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম। যদি কেউ বৈধ
কিছুর সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাদ্যযন্ত্রের
বিভিন্ন সুর বসিয়ে দেয়, সেটাও গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ
ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর
গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন
এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। -মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও
এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।-ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১
নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা
আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি
বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।-সুনানে
আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।-সহীহ
মুসলিম হাদীস : ২১১৪
মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের
যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্র,মিউজিকের বিধান কী হবে তা
খুব সহজেই বুঝা যায়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ভিডিওতে যে মিউজিক এএ ব্যবহার আছে,এটি শোনা জায়েজ নেই। তাই এধরনের মিউজিক কোনো ভিডিওতে
যুক্ত করাও জায়েজ হবেনা। যে ধরনের Background
সাউন্ডে মিউজিক নেই তথা বাদ্য-বাজনার
ব্যবহার নেই,সেগুলো আপনি সেই ভিডিও গুলোতে ব্যবহার করতে পারেন।
বাদ্য-বাজনার ব্যবহার আছে কিনা, সেই বিষয়টি সাউন্ড এনালিস্ট নির্ধারন করবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/16375/ৎ
https://ifatwa.info/13605/
২.
মোবাইলের রিংটোনকে মৌলিক ভাবে
তিন ভাগে বিভক্ত করা যায় :
(ক) সম্মানিত বস্তুর
আওয়াজ যেমন কুরআনের তেলাওয়াত ,আজান ,হামত ,নাত ইত্যাদির আওয়াজ
(খ) অবৈধ জিনিসের
সাউন্ড যেমন ,গান-বাদ্য,অনর্থক বা কুরুচি পূর্ন কথা ইত্যাদির আওয়াজ । প্রথমটি
ধর্মিয় শিয়ার (প্রতীক) হওয়ায় তা রিংটোন হিসাবে বাজালে শরয়ি শেয়ারের অপব্যবহার হবে বলে
এটি জায়েজ নয় ।
আর দ্বিতীয়টির আওয়াজতো খোদ
হাদিসেই নিষেধ করা হয়েছে। বিধায় এটাও রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা নাজায়েজ ।
(গ) বৈধ আওয়াজে
যেমন ,পশু –পাখি ও ঘন্টার আওয়াজ , যে গুলোতে মূলত মিউজিক ব্যবহার হয় না এগুলো মুবাইলে রিংটোন
হিসাবে ব্যবহার করা জায়েজ । সূত্র: সূরা লুকমান ৬+,রুদ্দুল মুহতার ৯/৫০২ ।
সুতরাং এলার্ম ঘড়িতে সাধারণত ঘন্টার আওয়াজ দেওয়া থাকে এটি মিউজিকের
অন্তর্ভূক্ত নয়। তবে যদি কোন ঘড়িতে গান বা বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ থাকে তাহলে তা ব্যবহার
করা থেকে দূরে থাকায় শ্রেয়।