بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
جُعِلَتْ
لِيَ الْأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا
আমার জন্য পুর্ণ জমিনকে মসজিদ
বানিয়ে দেয়া হয়েছে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩১৭, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৯৭৫]
وَقَالَ
عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِنَّا لاَ نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ أَجْلِ
التَّمَاثِيلِ الَّتِي فِيهَا الصُّوَرُ» وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يُصَلِّي فِي
البِيعَةِ إِلَّا بِيعَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ»
‘উমার (রাযি.) বলেছেন
আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইবনু ‘আববাস (রাযি.) গির্জায়
সালাত আদায় করতেন। তবে যেখানে প্রতিমা ছিল সেখানে নয়। [সহীহ বুখারী-গির্যায় নামায পড়ার
অধ্যায়]
فَإِنْ كَانَ
فِيهَا تَمَاثِيلُ خَرَجَ فَصَلَّى فِي الْمَطَرِ
হযরত ইবনে উমর রাঃ যদি গির্যায়
মূর্তি দেখতেন, তাহলে
বের হয়ে যেতেন এবং বৃষ্টিতে হলেও নামায পড়তেন। [ফাতহুল বারী-১/৫৩২,
নাম্বার-৪৩৪]
عَنْ أَبِي
ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ
الْأَرْضَ مَسْجِدٌ وَطَهُورٌ فَأَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فَتَيَمَّمْ
وَصَلِّ»
হযরত আবূ যর রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় জমিন নামাযের স্থান এবং পবিত্র। সুতরাং যে স্থানেই
নামাযের সময় হয়, তা
দিয়ে তায়াম্মুম কর এবং তাতে নামায পড়। [মুসতাখরাজে আবী আওয়ানা,
হাদীস নং-১১৫৯]
ইবনে আবদুল বার্ (রহ.) বলেন,
ইমাম বুখারি উল্লেখ করেছেন,
ইবনে আব্বাস (রা.) বিধর্মীদের উপাসনালয়ে
নামাজ পড়তেন; যদি
সেখানে মূর্তি না থাকত। আইয়ুব, উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর ও অন্যান্যরা নাফে থেকে,
তিনি উমর (রা.)-এর আজাদকৃত দাস আসলাম থেকে
বর্ণনা করেন যে, উমর
(রা.) যখন সিরিয়া আসেন, তখন
খ্রিস্টানদের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে নিমন্ত্রণ করে। তখন উমর (রা.) বললেন,
আমরা তোমাদের গীর্জাগুলোতে প্রবেশ করি
না এবং সেখানে নামাজও আদায় করি না— সেগুলোতে ছবি
ও মূর্তি থাকার কারণে। (তামহিদ : ৫/২২৭)
সুতরাং বোঝা গেল,
উমর (রা.) ও ইবনে আব্বাস (রা.) কেবল মূর্তি
থাকার কারণে সেখানে নামাজ আদায় করাকে মাকরূহ মনে করতেন। অতএব,
নামাজের স্থানে যদি মূর্তি বা এই জাতীয়
কিছু না থাকে এবং স্থানটি পবিত্র হয়, তাহলে সেখানে নামাজ পড়া জায়েজ।
অতএব,
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রয়োজনের খাতিরে গীর্জায় নামায পড়া জায়েজ আছে। তবে নামাজ আদায়ের স্থানটি পবিত্র হতে হবে। পাশাপাশি
সেখানে কোনো ধরনের ছবি বা মূর্তি না থাকতে হবে (যেগুলোকে তারা সম্মান ও পূজা করে )।
কারণ, গোটা পৃথিবী সিজদার স্থান। মুসলিমের জন্য সারা বিশ্বের
সব জায়গায় নামাজ পড়া জায়েজ। তবে শরিয়তের দলিল-প্রমাণের কারণে যদি কোনো বিশেষ স্থানকে
বাদ দেয়, সেই
স্থানগুলো ছাড়া। যেমন- কবরস্থান, গোসলখানা ও উট বাঁধারস্থান ইত্যাদি।
২. মুসাফিরের জন্য স্বাভাবিক
অবস্থায় জামাতের সাথে নামাজ আদায় করাই নিয়ম। সফরের কোনো তাড়া না থাকলে মুসাফির জামাতেই
নামাজ পড়বে। তবে কোন বিশেষ কারণে জামাত ছাড়া একাকী নামাজ পড়লে জামাত পরিত্যাগের
গুনাহ হবে না।