بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
শরয়ী বিশেষ জরুরত ব্যতীত ছবি ভিডিও সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়েয।
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।.
★তবে অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যেঃ
যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা নাজায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা নাজায়েয। আর যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা জায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা জায়েয।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ভিডিও গুলো দেখার ব্যপারে কয়েকটি শর্তে অনুমোদন দেয়া যেতে পারে,
(ক)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(খ)নারী দৃশ্যপট থাকতে পারবে না।
(গ)ফিতনার আশংখার ধরুণ নারীকন্ঠও থাকতে পারবে না।
(ঘ) খোলামেলা কোনো দৃশ্যায়ন তাতে থাকতে পারবে না।
উক্ত শর্তগুলি মেনে কোনো ভিডিও তৈরী করা হলে দেখা যাবে।
এড আসলে সেটাতে ক্লিক করবেনা,এমনিতেই চালু হয়ে গেলে দ্রুত স্কীপ করবে।
সেই দৃশ্যপট ও সাউন্ডের প্রতি মনযোগ না দিয়ে ঘৃণাভরে সেটি স্কীপ করার দ্রুত চেষ্টা করবে।
এক্ষেত্রে এডব্লকার ব্যবহার করা সবচেয়ে সুবিধাজনক।
তবে ইউটিউবের যাবতীয় সব রকমের ভিডিও না দেখাই তাকওয়ার দাবী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১- ২. ইউটিউবে বিনা প্রয়োজনে কোনো ছবি সম্ভলিত ভিডিও দেখতে পারবেন না। তা জায়েয হবে না। হ্যা, প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক এবং দ্বীনি ভিডিও দেখা যেতে পারে।
সেই ভিত্তিতে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইউটিউবে/ফেসবুকে কোনো শিক্ষনীয় বা প্রয়োজনীয় ভিডিও দেখা জায়েজ হবে। তবে শর্ত হলো মিউজিক থাকা যাবেনা, হারাম কিছু থাকা যাবেনা। ভিডিওটি শিক্ষনীয়, প্রয়োজনীয় হতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
ভিডিওটি অপ্রয়োজনীয় বা শিক্ষনীয় না হলে সেটা দেখার অনুমতি ইসলামী স্কলারগন প্রদান করেননা।
৩. পূর্বেল্লিখিত শর্তের সাথে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করা জায়েয আছে।