ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইউটিউব বা ফেইসবুক মনিটাইজেশন হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। সুতরাং যেখানে হালাম হারামের সন্দেহ চলে আসে, ঈমানের তাকাযা হল, এমন পেশা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2545
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1898
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রাণীর দৃশ্য ব্যতিত প্রাকৃতিক দৃশ্যর ধারণ করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা যাবে।তবে এমন কোনো নাশিদ এড করা যাবে না যাতে মিউজিক রয়েছে।
মেয়ে হিসেবে মেয়েদের তিলাওয়াত শ্রবণ করাই উচিত। যদিও সে পরিপূর্ণ পর্দা না করে। তবে মেয়েদের জন্য ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা জায়েয হবে না। কেননা ইউটিউবে পুরুষ নারী যে কেউ তিলাওয়াত শুনতে পারবে। তিলাওয়াত ছাড়াও ইউটিউবে মেয়েদের কন্ঠে অন্যান্য ভিডিও আপলোড করা জায়েয হবে না।
কপিরাইট নেই এমন ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করাও সঠিক হবে না।