আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আমার এক আত্নীয় রাগে তিন তালাক দিয়ে দেই,। তাদের ২ টি সন্তান আছে।তারা চায় আবার একসাথে থাকতে। আলাদা থাকা সম্ভব না,এতে সন্তানের ভবিষ্যত জীবন জড়ানো।তালাকের ব্যাপারে তাদের এতো জ্ঞ্যান ছিলোনা।২ জন চায় একসাথে থাকেতে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর সমাধান কি হতে পারে।
যদি স্ত্রীকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয় মানে আমরায় লোক ঠিক করে দিলাম, ১-২ দিন সহবাস করার পর যদি তালাক দেয় তাহলে কি ১ম স্বামীর জন্য বিবাহ বৈধ হবে?এমন হতে পারে টাকা দিয়ে লোক ঠিক করলাম।শর্ত সাপেক্ষে।একটু ভেংগে বললে উপকার হতো।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

ifatwa.info/15409/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

কেউ যদি তার স্ত্রীকে এক তালাক রাজয়ী দেয়, তাহলে সে আবার ঐ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। ঠিক এভাবে দুই তালাক দেয়ার পরও ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে।

এভাবে এক তালাক বাঈন বা দুই তালাক বাঈন দেয়ার পর নতুন বিয়ের মাধ্যমে আবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু যদি তিন তালাক দেয়া হয়, (চায় উক্ত প্রদত্ত তালাক রাজয়ী হোক বা বাঈন হোক) তাহলে তখন তালাক মুগাল্লাজা হবে।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُواْ مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلاَّ أَن يَخَافَا أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَعْتَدُوهَا وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللّهِ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম।

 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2729

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

তিন তালাক পতিত হওয়ার পর উক্ত স্বামী স্ত্রী আর একত্রে বসবাস করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয় এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়, তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না। এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত  পুরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল, পাথর মেরে হত্যা করা। তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়। আর আখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।

 

টাকা দিয়ে কারো কাছে বিয়ে দিয়ে আবার তালাক নিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে যদি ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হলেও প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...