আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি এক জনের সাথে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে গল্প করছিলাম। আমি তাকে সেই ব্যাক্তি সম্পর্কে বলছিলাম যে সে ব্যাক্তি নাকি পারিবারিক একটি অনুশঠানে    ঢোল বাজাবে। তাকে অনুশঠানে  বাড়িতে ঢোল বাজাতে দেয় নি বলে সে রাগ করে  পারিবারিক অনুশঠানে যায়নি।  আমি তখন যার সাথে গল্প করছিলাম   অই ব্যক্তিকে বলছিলাম যে হিন্দুরা তো ঢোল বাজায়। গল্পের এক পর্যায়ে আমি তাকে বলছিলাম যে অই ব্যক্তি তো হিন্দু। এই কথা বলার পর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।          এখন আমার প্রশ্ন হল-

১.আমার এভাবে অই ব্যক্তি তো হিন্দু এভাবে বলার কারনে কি তাকফির করা হয়েছে?  এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২.অনেকে অনেক সময় গল্প করার সময় এম্নি মজা করে  বলে যে , তুই তো কাফের। তাহলে কি তাকে তাকফির করা হবে?

৩.কেউ যদি মুখ ফস্কে কাউকে তাকফির করে কিন্তু তার মনে তাকফির করার কোন নিয়্যাত ছিলনা তাহলেও কি তাকফির করা হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/45904/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইকে বলে, ‘হে কাফের’ তখন যে কোন একজনের উপর অবশ্যই বাক্যটি পতিত হয়। যাকে কাফের বলা হল, সত্যিই যদি সে কাফের হয়ে থাকে তবে কোন কথা নেই। কিন্তু সে যদি তা না হয়ে থাকে তবে যে কাফের বলে সম্বোধন করে তার ওপরই পতিত হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

অর্থাৎ কাহাকেও কাফের বলিয়া ফতোয় দিলে ইহা আর ব্যৰ্থ বা অনর্থ হয় না। সুতরাং যাহাকে কাফের বলা হইয়াছে সে যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের হয়, তবে ফতোয়া ঠিক। অন্যথায় কাফের বলিয়া যে ফতোয়া দিয়াছে ফতোয় তাহার দিকে ফিরিয়া আসিবে। অতএব, কাফের হওয়ার ফতোয়া দিবার বেলায় অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ

فقد باء بها أحدهما "، وهو بمعنى: " رجع " أيضا، قال النووي: اختلف في تأويل هذا الرجوع فقيل: رجع عليه الكفر إن كان مستحلا، وهذا بعيد من سياق الخبر، وقيل: محمول على الخوارج لأنهم يكفرون المؤمنين.
والتحقيق: أن الحديث سيق لزجر المسلم عن أن يقول ذلك لأخيه المسلم، وذلك قبل وجود فرقة الخوارج وغيرهم، وقيل: معناه: رجعت عليه نقيصته لأخيه ومعصية تكفيره، وهذا لا بأس به، وقيل: يخشى عليه أن يئول به ذلك إلى الكفر
সারমর্মঃ  
এই ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি সে এভাবে কাফের বলাকে হালাল মনে করে,তাহলে সে কাফির হবে।
কেহ কেহ বলেন এটি খাওয়ারেজদের উদ্দেশ্য তিলাওয়াত করা হয়েছে।  
তবে তাহকীকী কথা হলো, এই হাদীস আনা হয়েছে মুসলমানদের হুমকি ও সতর্কতার জন্য।
কেহ কেহ বলেন যে এতে উক্ত ব্যাক্তির উপর ভয় হয় যে এর কারনে সে কুফরের দিকে যাবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এতে তাকফির করা হয়নি।
এক্ষেত্রে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০২)
এতে তাকফির করা হয়নি।

(০৩)
এক্ষেত্রেও তাকফির করা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
0 votes
1 answer 92 views
0 votes
1 answer 106 views
0 votes
1 answer 119 views
0 votes
1 answer 103 views
0 votes
1 answer 166 views
0 votes
1 answer 141 views
...