আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমার অনলাইনে এক বোনের সাথে পরিচয় হয়। তার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো এবং অনেকদিন ধরেই আমি তাকে নানাভাবে সাহায্য করে আসছিলাম। কিন্তু অনেকদিন থেকে সেই বোনের তরফ থেকে এমন কিছু ঘটনা ঘটছিলো যা আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছিলো দিন দিন। আমি নিতে পারছিলাম না। যার কারণে আমার ঈমান, আমলেও এফেক্ট পড়ছিলো। আমি দিশেহারা ,হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম।

তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তার সাথে আর কথা বলবো না। রাগ নিয়ে নয় তবে বিরক্তি থেকে। তাকে ব্লক দিয়ে রেখেছিলাম। আর বলেছিলাম আমার সাথে প্লিজ যোগাযোগ করবেন না।

এটা কি আমার করা উচিত হয় নি? কারণ আজ একটা হাদিস সামনে আসলো যে এক মুসলিম অপর মুসলিমের সাথে তিনদিনের বেশি কথা না বলে থাকলে সে গুনাহগার হবে। এক্ষেত্রে আমি কি করবো।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/38673/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা,সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِىِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَلْتَقِيَانِ فَيَعْرِضُ هٰذَا وَيَعْرِضُ هٰذَا وَخَيْرُهُمَا الَّذِىْ يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তিনদিনের বেশি সময় অপর কোন মুসলিম ভাইকে ত্যাগ করে। তারা কোথাও একে অপরের মুখোমুখি হলে একজন এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অপরজন ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের দু’জনের মধ্যে উত্তম সে ব্যক্তি, যে প্রথমে সালাম করে কথাবার্তা আরম্ভ করে।

(বুখারী ৬০৭৭, মুসলিম ২৫-(২৫৬০), আবূ দাঊদ ৪৯১১, তিরমিযী ১৯৩২, সহীহুল জামি‘ ৭৬৬০, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৫, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৩১৪, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৬৫, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ৬৩৬৫, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৩৬৮, আহমাদ ১৩৩৫৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৬৬৯, শু‘আবুল ঈমান ৬৬১৭, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৮৫২, আস্ সুনানুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ২০৫২১।)

তবে যদি দূরে থাকার কারনে কোনো দেখা সাক্ষাৎ না হয়,সেক্ষেত্রে যোগাযোগ না হওয়ায় যদি কথা না হয়,তাহলেও গুনাহ হবেনা।  

আরো জানুনঃ

দারুল উলুম  দেওবন্দ এর 178050 নং ফতোয়াতে এসেছে যে কোনো মুসলমানের সাথে হিংসা ইত্যাদির কারনে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই। 
তবে সে যদি দ্বীনের লাইন থেকে দূরে সরে যায়,মদ খায়,জুয়া খেলে,যেনা করে,সুদ খায়।
বুঝানোর পরেও বুঝেনা,ইসলাম মানেনা।
,
তাহলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ আছে। 
তবে  স্থায়ীভাবে নয়,সাময়িক ভাবে। 
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৮/২৭০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনি যদি পুরুষ হোন,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য তার সাথে এভাবে যোগাযোগ কোনোভাবেই জায়েজ নয়,ব্লক করার সিদ্ধান্তই সঠিক।

আর আপনি যদি মেয়ে হোন,সেক্ষেত্রে উক্ত বোন যর যদি দ্বীনের লাইন থেকে দূরে সরে যায়,হারাম কিছু করে,বুঝানোর পরেও বুঝেনা,ইসলাম মানেনা।
,
তাহলে তাকে ব্লক করা জায়েজ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...