জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাযীর ঠিক সামনে বসা ব্যক্তি স্থান থেকে সড়ে যেতে পারবে?
হ্যাঁ, উক্ত ব্যক্তি স্বীয় স্থান থেকে সড়ে যেতে পারবে। যেহেতু এর দ্বারা নামাযী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার বিষয় পাওয়া যায় না। সে আস্তে করে স্বীয় স্থান থেকে উঠে চলে যাবে।
এ বিষয়টির দলিল হযরত আয়শা রাঃ এর নিম্নোক্ত হাদীস থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়।
হাদীসটি হল-
عن عائشة . قال الأعمش وحدثني مسلم عن مسروق عن عائشة : ذكر عندها ما يقطع الصلاة الكلب والحمار والمرأة فقالت شبهتمونا بالحمر والكلاب والله لقد رأيت النبي صلى الله عليه و سلم يصلي وإني على السرير بينه وبين القبلة مضطجعة فتبدو لي الحاجة فأكره أن أجلس فأوذي النبي صلى الله عليه و سلم فأنسل من عند رجليه
[ ر 486 ](صحيح البخارى-كتاب الصلاة، أبواب سترة المصلي،باب من قال لا يقطع الصلاة شيء، رقم الحيديث-493، 514)
অনুবাদ-হযরত মাসরুক আয়শা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন তাকে এই হাদিস শুনানো হল যে, “গাধা ও কুকুর এবং মহিলাদের কারণে নামায ভেঙ্গে যায়” তখন তিনি বললেন যে, “তোমরা আমরা নারী জাতিকে গাধা ও কুকুরের সমতূল্য বানিয়ে দিলে? অথচ আমি নবীজী সা. এর সামনে কিবলার দিকে জানাযার মত শুয়ে থাকতাম। আর নবীজী নামায পড়তেন (তাহাজ্জুদ)। তখন আমার পা ছড়ানো দরকার হলে আমার পা নবীজী সাঃ এর সিজদার স্থানে চলে যেত। (ঘর অন্ধকার থাকার দরুন) যখন তিনি সিজদার জন্য বসতে চাইতেন, তখন আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। তখন আমি পা গুটিয়ে নিতাম। (বুখারী শরীফ-হাদিস নং-৪৯২,৫১৪)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এমতাবস্থায় আপনার জন্য করনীয় হলো,সুতরার ব্যবহার করে সেখান থেকে উঠে জামাতে অংশগ্রহণ করা।
সুতরা না থাকলে সরাসরি আপনার পিছনে যে নামাজ পড়ছে,একটু বাকা হয়ে তার পার্শ্ব দিয়ে পিছনে চলে আসা,অতঃপর অন্য সাইট দিয়ে সরে অগ্রসর হয়ে জামাতে অংশগ্রহণ করা।
(০২)
ইমামের তাকবির বলার সাথে সাথেই উঠে যাবেন,চাই তাসবিহ জোড় সংখ্যক পড়া হোক বা বেজোড় সংখ্যক পড়া হোক।
তবে তাসবিহ এর মাঝে থাকলে এক্ষেত্রে তাহা দ্রুত পূর্ণ পড়ে উঠবেন,যেমন সুবহানা রব্বিয়াল বলার পর ইমাম সাহেব তাকবির বললে আপনি সাথে সাথে আ'লা বলে তারপর উঠবেন।
তবে এক্ষেত্রে সেই তাসবিহ পূর্ণ না করে ইমামের তাকবিরের সাথে সাথেও উঠা যাবে,সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ خَرَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ فَصَلَّى لَنَا قَاعِدًا فَصَلَّيْنَا مَعَهُ قُعُودًا ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ إِنَّمَا الْإِمَامُ أَوْ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا.
আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া হতে পড়ে গিয়ে আহত হন। তাই তিনি আমাদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বসে সালাত আদায় করি। অতঃপর তিনি ফিরে বললেনঃ ইমাম অনুসরণের জন্যই বা তিনি বলেছিলেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন রুকূ‘ করেন তখন তোমরাও রুকূ‘ করবে। যখন তিনি উঠেন তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে এবং তিনি যখন সাজদাহ্ করেন তখন তোমরাও সাজদাহ্ করবে।
(বুখারী শরীফ ৭৩৩.৩৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৯৭)