আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
১। জীন যখন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে চলে যায় বা সহবাসে জরিত হয় (পুরুষ , মহিলা বা উভয়লিঙ্গ সব ক্ষেত্রে) তখন কি তাদের উভয়দের কি যেনা করার গুনাহ হয় নাকি শুধু সেই জীনের হয় । কারন তখন কি মানুষের ত নিজের উপর নিয়ন্ত্রন থাকে না ?

২। কুরআন আল্লাহর কালাম এটা আয়াতের মুখাপেক্ষী নয় ? এটা দ্বারা আসলে কি বুঝানো হয়েছে আর এই কথা কি সঠিক ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে- হদ বলে) শাস্তি দেন। ’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮

★সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম গণিমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসির সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে তার কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হজরত উমর (রা.) ওই গোলামকে কশাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে তাকে কষাঘাত করেননি। ’ –সহিহ বোখারি: ৬৯৪৯

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জীন যখন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে চলে যায় বা সহবাসে জড়িত হয়, সেক্ষেত্রে এটি তো জোড় করে  হয়,তাই এটি ধর্ষন,এক্ষেত্রে শুধু জীনের গুনাহ হবে,মানুষের নয়।

কিন্তু এটি যদি জোড় বা চাপ দিয়ে নয়,বরং মানুষের সন্তুষ্টি চিত্তেই হয়,সেক্ষেত্রে মানুষেরও যেনার গুনাহ হবে। 

(০২)
কুরআনের আয়াতই তো আল্লাহ তায়ালার কালাম।
প্রত্যেক আয়াত আল্লাহ তায়ালার কালাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কথা যিনি বলেছেন,তার থেকেই বুঝে নেয়ার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...