জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ خَرَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ فَصَلَّى لَنَا قَاعِدًا فَصَلَّيْنَا مَعَهُ قُعُودًا ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ إِنَّمَا الْإِمَامُ أَوْ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا.
আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া হতে পড়ে গিয়ে আহত হন। তাই তিনি আমাদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বসে সালাত আদায় করি। অতঃপর তিনি ফিরে বললেনঃ ইমাম অনুসরণের জন্যই বা তিনি বলেছিলেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন রুকূ‘ করেন তখন তোমরাও রুকূ‘ করবে। যখন তিনি উঠেন তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে এবং তিনি যখন সাজদাহ্ করেন তখন তোমরাও সাজদাহ্ করবে। (বুখারী শরীফ ৭৩৩. ৩৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৯৭)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ". قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ ". قَالَ أَنَا. قَالَ " رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا، أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلُ ".
রিফা‘আহ ইবনু রাফি’ যুরাকী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি যখন রুকূ‘ হতে মাথা উঠিয়ে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললেন, তখন পিছন হতে এক সহাবা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ বললেন। সালাত শেষ করে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সহাবী বললেন, আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম ত্রিশ জনের অধিক মালাইকাহ এর সওয়াব কে পূর্বে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। (বুখারী শরীফ ৭৯৯,
আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৬৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় পদ্ধতিই সহীহ হাদীস সমর্থিত পন্থা। সুতরাং যেকোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে পড়া যাবে,কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে বাথরুমে কুরআনের আয়াত,হাদীস,আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম সম্বলিত কিছু নিয়ে যাওয়া জায়েজ নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আরবী লেখা সম্বলিত জামা বা টিশার্ট পড়ে ওয়াশরুমে যাওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো কুরআনের আয়াত,হাদীস,আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম সম্বলিত কোনো লেখা তাতে থাকা যাবেনা।
- "( لا تحزن)" শব্দটি যেহেতু কুরআনের আয়াতের অংশ বিশেষ,তাই - "( لا تحزن)" লেখা আছে এমন টিশার্ট পড়ে সতর্কতামূলক ওয়াশরুমে না যাওয়াই উচিত।
তবে এক্ষেত্রে টিশার্ট উল্টিয়ে পরিধান করে বা তার উপর অন্য কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে দিয়ে
ওয়াশরুমে যাওয়া যাবে।