আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালমুআলাইকুম ,

এমনি কোনো ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে ছেলেটা আল্লাহর কসম করে এই সব কথা গুলো এমনি ভালোবেসে বলেছে,
বললো আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবনা। অন্য মেয়েকে বৌ হিসেবে ভাবতেই পারবনা। তোমার  জায়গাতে অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারবোনা।  অন্য মেয়ের সাতে সংসার করতে পারবোনা।, অন্য মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবোনা, মন দিতে পারবনা। ইত্যাদি বিয়ের পূর্বে বলেছে কিন্তু এখন ওই মেয়ে ও ছেলে অন্য জায়গাতে বিয়ে করেছে । তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না??

১.ছেলেটা  অন্য মেয়ে কে বিয়ে করে সংসার করছে তাহলে কি তালাক হবে?
২. মেয়েটাও অন্য ছেলেকে বিয়ে করে সংসার করছে।
৩. কসম ভাঙার কাফফারা না দিলে কি সংসার বৈধ হবে না, সহবাস করা যাবে না ? গুনহা হতেই থাকবে, নাকি গুণহা টা একবার হবে??
বলতে চাইছি পরবর্তী তে কাফফারার দিয়ে দিবো।
৪. আমি নির্ভয় এ সংসার করতে পারি আমি ভাবছি সন্তান নিবো সেক্ষেত্রে কাফফারা র জন্য সমস্যা হবে না? ( আসলে অর্থের পরিমাণ সেই রকম নেই তাই কাফফারা পরে দিবো )
৫. কাফফারা না দিয়ে আল্লাহর কাছে কাফফারার জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ কি মাফ করবেন??

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 
 لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। 
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়। 

এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।

তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
না,এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

আরো জানুনঃ  

(০২)
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
কসম ভঙ্গের কাফফারা না দিলেও সংসারে কোনো সমস্যা হবেনা। 
তাদের ঘর সংসার বৈধ। সহবাস হালাল।

এক্ষেত্রে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাফফারা আদায়ে দেড়ি করলে গুনাহ হবে।
তবে এই গুনাহ চলমান গুনাহ নয়,যে চলতেই থাকবে।

তবে আপাতত কাফফারা আদায়ে সক্ষম না হলে পরবর্তীতে সক্ষম হওয়ার পর কাফফারা আদায় করে নিবে,এক্ষেত্রে দেড়ি হওয়ার দরুন তার গুনাহ হবেনা।

(০৪)
আপনি নির্ভয় এ সংসার করতে পারেন।
সন্তান নিতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।

(০৫)
না,আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেননা।
কাফফারা আদায় করতেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 72 views
...