ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯) আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/3747
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)যদি ওষুধ কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের সাপ্লাই থাকে না। তখন ফার্মাসিস্টদের নিকট উক্ত ওষুধ কিছু থাকলেও তারা সেটা সহজে বিক্রি করতে চায় না। বেশি দামে বিক্রি করে,যেহেতু এখানে ক্রেতা নিজ সম্মতিতে মাল ক্রয় করছে, তাই নাজায়েয হচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করে ক্রেতার উপর জুলুম করাটাও ঠিক হবে না।
(২) ওষুধ বিক্রি করার কিছুদিন পর ক্রেতা এসে যেগুলো কাজে লাগেনি সে ওষুধগুলো ফেরত দিয়ে টাকা নিতে চায়, এক্ষেত্রে " ওষুধ বিক্রেতার উচিৎ ঔষধ গ্রহণ করে টাকা ফেরত দেয়া"।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَقَالَ مُسْلِمًا بَيْعَتَهُ, أَقَالَهُ اللَّهُ عَثْرَتَهُ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের (বা অনুতপ্ত ব্যক্তির অনুরোধে) চুক্তি ভঙ্গের সুযোগ দিলো, আল্লাহ তার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন। —ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহীহ বলেছেন।( আবূ দাউদ ৩৪৬০, ইবনু মাজাহ ২১৯৯, আহমাদ ৭৩৮৩)
(২.১) "টাকা নিতে হলে অর্ধেক দাম ফেরত দেয়া যাবে।" এমন বলা জায়েয হবে না।
(২.২) ক্রেতা উক্ত শর্তে রাজি হলেও, এমনটা স্পষ্টত জুলুম হিসেবে বিবেচিত হবে।
(২.৩) "ওষুধ ফেরত দিলে টাকা দিব না, সমপরিমাণ অন্য ওষুধ দিতে হবে।" এমনটা করাও অনুচিৎ।
(৩) বর্তমানে ১ডলার মূল্য ১০৯ টাকা। কেউ যদি ১ডলারের বিনিময়ে ২০০ দেয়, তাহলে সেট সুদের আওতায় পড়বে না।