আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)

https://ifatwa.info/79539/?show=79569#a79569

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, উক্ত বোনের প্রশ্ন।

আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ আমার রমজানের পর জীন, জাদুর সমস্যার জন্য পিরিয়ড অফ হয়ে যায়।

এরপর আগস্ট মাসে ১ তারিখ মাগরিব / আছরে ওয়াক্তে সাদা স্রাবের সাথে কালো তিলের মত এক ফোটা কালো রক্ত টাইপ আসে। কিন্তু পুরোপুরি ব্লাড আসেনি।

২ তারিখ - সকালেও ৯টার পর একই যায়।হালকা পরিবর্তনশীল বা হলুদ রঙ এর স্রাব ও সেই রক্তের ফোটা।

৩ তারিখ - সকালে লালস্রাব যায় হালকা খয়েরি রঙ য়ের পানির মত। লিকুইড। যা পিরয়ড শুরু ধরে নি।

এভাবে জমাট বাধা রক্ত যায় আর অফ হয় এরকম।
৮ তারিখ- সকালেও স্রাব সাদা আসেনি। আমি যেহেতু সাদাস্রাবের পেশেন্ট তাই স্রাব সাদা না হওয়া অব্দি অপেক্ষা করি।
দুপুরে- ২ টা করে সাদাস্রাব দেখি তখন ফরজ গোসল করে নি।

এর আগের দিন স্রাব বন্ধ ছিল। রক্ত বন্ধ ছিল। স্রাব হালকা হলুদ বা ঘিয়া টাইপের ছিল৷ তবে সাদাস্রাব না আসায় অপেক্ষা করেছিলাম।

আমার মাসিক সাধারণ হিশেবে ৭ দিন ধরি। কিন্তু জীন,জাদুর সমস্যার দরুন এখন কখনো ৬ দিন,কখনো ৮ দিন, কখনো ১০ দিনও অপেক্ষা করি। ঠিক নেই গত ২/৩ বছর থেকে।

এখন আবার ১৫ তারিখ থেকে গাঢ় লাল স্রাব যায় যা অনেকটা কালো চামড়ার মত।
১৬ তারিখ সকালেও যায়।

যেহেতু ২ হায়েজের মধ্যবর্তী পবিত্রতার সময় ১৫ দিন হয় তাই ইস্তিহাজা ধরে নামাজ পড়ে যাচ্ছি। আর রক্তের গন্ধ ইস্তিহাজার মতই। হায়েজের রক্তের মত গন্ধ নেই।

এখন আজ ২৩ তারিখ অব্দি একই যাচ্ছে। আবার ২৩ তারিখ পিরিয়ড শুরুর দিনগুলার মত খয়েরি পানি যাচ্ছে এখন।

১/
এখন যেহেতু ১৫ দিন হয়ে গেছে। আগামী দিনগুলোয় স্রাব আসলে কি হায়েজ ধরবো? কিন্তু ব্লিডিং ত হয়না ওরকম। হায়েজের মত রক্তও নয়।

২/ যদি হায়েজ ধরে নামাজ অফ করি তখন যদি আবার রক্ত ৩ দিনের কম গিয়ে অফ হয় তখন কি ইস্তিহাজা ধরে নামাজ কাজা করবো?

৩/ যদি ৩ দিনের বেশি যায় তখন কি হায়েজ ধরবো?

৪/
কিন্তু যেহেতু এ ইস্তিহাজা জীনের আঘাতজনিত কারণে হচ্ছে। জীন চালাকি করে আঘাত বন্ধ করে দেয় অনেক সময় ৩ দিন হয়ার আগে। আবার অনেক সময় ৩দিনের বেশি গিয়ে হায়েজ ধরে অফ করলে আবার পরবর্তী মাসের ১ তারিখে রক্ত আসে।
তখন আবার ১ সেপ্টেম্বর রক্ত আসলে কি ইস্তিহাজা ধরবো নাকি ওটা হায়েজ?

( আগের বছর গুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এরকমই দেখেছি শায়েখ। তাই অগ্রীম প্রশ্ন করা।)

জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিষয়টি অস্পষ্ট মনে হচ্ছে, দয়াকরে আপনি কমেন্টে বিষয়টাকে সহজ করে লিখুন........


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 193 views
...