আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in পবিত্রতা (Purity) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১/ তাজওইদ(শিখছি) শুদ্ধভাবে না পারলে  সুরা (ফাতেহা বা আত্তাহিয়াতু ) উচ্চারণ করতে গিয়ে যদি এক আয়াত রিপিট হয় তাহলে কি সাহু সেজদা দিতে হবে?  যেমন আমার আঈন উচ্চারণ হয় না তখন আমি সঠিক আঈন আনার ট্রাই করে পড়ি।যারভকারনে এক আয়াত দুইবার হয়ে যায়। কখনো কখনো নফসের ধোকায় ও পড়ি ।
২/ টিকটিকির মল সব জায়গায় দেখা যায়।
আলনার কাপড়ের মধ্যে ও মিলে।
এখন কাপড়ে মল দেখলে সেটা ফেলে দিয়ে পড়লে কি নামাজ হবে?  গোসলের সময় কাপড় পরিধানের পর ও অনেক্টা ভেজা ভেজা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কি নামাজ হবে?
বিছানায় ও থাকে কখনো ভেজা চুল নিয়ে শুয়ে পড়ি এরকম হলে কি নামাজ হবে?
৩/ গুনাহের প্রতি অনুশোচনা এবং নেক আমলের করার স্পৃহা অন্তরে জাগে না। সোহবত পাবো না যে জায়গায় আছি। কি করতে পারি এজন্য?  মূলত আমার আগ্রহ নাই। কোন অনুভুতি কাজ করেনা।
৪/ টয়লেটের বেসিনে স্ট্যান্ডের উপর কিংবা এখানে রাখা অলিভ ওয়েল ব্রাশের গোড়া ইত্যাদিতে টিকটিকির মল পড়ে প্রায় সময় দেখি না। আজকে ব্রাশের উপর ছিল শুকিয়ে গিয়েছে ব্রাশটা ইউজ করি না। তবে শাওওয়ারের ছিটা গিয়ে পড়েছে অইজায়গায় এবং আমি ব্রাশের উপর এলার্জির মলম রেখে দিয়েছিলাম।  পরে ভেজা হাতে মলম হাতে নিয়ে শরীরে লাগাই। আমি শিউওর হয়ে বলতে পারছিনা মলমের গায়ে টিকটিকির মল লাগছে কি না! তবে আমি ভেজা হাতে নিয়ে লাগিয়েছি। এবং ব্রাশের উপর থেকে নিয়েছি। ব্রাশে তখন মল ছিল কি না আমি মনে করতে পারছিনা। তবে মনে হচ্ছে ছিল। আমি নিশ্চিত না।
এমন অবস্থায় আমি নামাজ পড়েছি।  নামাজ কি হয়েছে?
আরেকটা প্রবলেম হচ্ছে ওয়াসওয়াসা বেশি হয়। আমি সুইচ অফ করলে গিয়েও হাত ধুয়ে আসি। দরজা লাগালেও হাত ধুয়ে আসি। প্রায়ই হাত ভেজা থাকে। কখনো কখনো শুকনা থাকে। আমি কি করব এসবের জন্য?  মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে।  হাত ধুয়ার একিই কারন টিকটিকির মল। অথবা এখান দিয়ে হেটে গিয়েছে আমি দেখেছি ইত্যাদি।

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
উস্তায ১ ও ৩ সহ কোন প্রশ্নের ই উত্তর পেলাম না। শুধু এটা বুঝছি ওয়াসওয়াসার জন্য কোর্স করব। আর প্রশ্নের উত্তরগুলা ? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...