আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
১.কারোর স্বামী যদি প্রচণ্ড মেয়েঘেষা হয় তাহলে কি করা যায়। তার কাজ মেয়েদের সাথেই, কিন্ত সে বিন্দুমাত্র নিজেকে হেফাজতের বা নজরের হেফাজতের চেষ্টা করে না।

সারাক্ষণ মেয়েদের সাথে গল্প করতে চায়, ফোনে যোগাযোগ,  ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চায়, সামনাসামনি ও প্রচণ্ড মেয়েদের পিছনে ঘোরে, লুকিয়েও এটা সেটা করে, পর্ণ দেখে।চরিত্রে খুব সমস্যা।
তার ওয়াইফ আর কিছুতেই এইসব নিয়ে ধৈর্য্য ধরতে পারছে না। সারাক্ষণ এইসব ভাবলে, ওয়াইফের মন আরো খারাপ লাগে, এই স্বামীকে ছেড়ে চলে যেতে মন চায়।
এই লোক দিন দিন এতো খারাপের দিকে যাচ্ছে, আরো চরিত্রহীন হচ্ছে, এইগুলো আর মানা সম্ভব হচ্ছে না।

এমন স্বামীর চরিত্র ঠিক করতে ওয়াইফের কি করণীয়?

২. হাজবেন্ডের ফেসবুকে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ,  তার চরিত্রহীনতা নিয়ে ওয়াইফের সাথে খুব ই রেগুলার ঝামেলা হয়। ইসলাম অনুযায়ী কি করা যায় সংসার করতে?
২. হাজবেন্ডের সাথে সম্পর্ক ভালো করার নিয়তে সূরা রুমের ২১ আর সূরা আরাফের ১৮৯ নাম্বার আয়াত পড়া যাবে কি?

৩.এক মেয়ের স্বামী শুরু থেকেই তার উপর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, জুলুম করে অনেক বেশি পরিমাণে, দিন দিন এইগুলো আরো বাড়ছে।

এখন ওয়াইফ কি করতে পারে স্বামীর দেওয়া এইসব কষ্ট থেকে বাঁচতে বা ভবিষ্যতে স্বামী যাতে জুলুম, অবহেলা না করতে পারে তার জন্য কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১+২)
যেহেতু আপনার স্বামী এখনো আপনার সাথে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচ্ছেদের আলোচনা করছেন না বা সেদিকে অগ্রসর হচ্ছেন না।এটা প্রমাণ করে সে আপনাকে ভালবাসে।হয়তো কোনো কারণে সে পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।তাই আমি মনে করি যে, আপনি তাকে পূর্ণ ভালবাসা প্রদাণ করুন।তার সাথে যথেষ্ট মায়াবী আচরন করুন।তার সামনে সু-সজ্জিত হয়ে আসুন।এবং প্রথম দিনের মত তাকে আগ্রহ ভরে দেখুন।এবং সাথে সাথে তাকে আখেরাতের ভয় প্রদর্শন করুন।বা ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্মক অবগত করানোর চেষ্টা করুন।

আমি আপনাকে বিশেষ কয়েকটি নসিহত করবো-
(ক)
আপনার স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কে অন্য কাউকে জানাবেন না।কেননা গোনাহে গোপন রাখা ওয়াজিব।তাই গোপন রাখার চেষ্টা করুন।

(খ)
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।

(গ)
তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।

এসবের পরেও যদি কোনো প্রকার ফায়দা না হয় তথা যদি স্বামী পরকিয়া থেকে বিরত না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর সামনে দু'টি পথ থাকবে-

(এক)
হয়তো আপনি ঐ মহিলাকে বিয়ের কথা বলুন।

(দুই)
স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে বা খূলা করতে পারবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-- https://www.ifatwa.info/295


(২)
হাজবেন্ডের সাথে সম্পর্ক ভালো করার নিয়তে সূরা রুমের ২১ আর সূরা আরাফের ১৮৯ নাম্বার আয়াত পড়া যাবে। সর্বোপরি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে স্বামীর হেদায়তের দু'আ করুন।

(৩)যদি কোনো মেয়ের স্বামী শুরু থেকেই তার উপর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, জুলুম করে অনেক বেশি পরিমাণে, এবং দিন দিন এইগুলো বাড়তে থাকে, তাহলে ওয়াইফ স্বামীর দেওয়া এইসব কষ্ট থেকে বাঁচতে বা ভবিষ্যতে স্বামী যাতে জুলুম, অবহেলা না করতে পারে, তার জন্য নিজ পরিবারের লেকজনকে শেয়ার করবে, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...