আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ শায়খ,
১.গত কয়েকদিন যাবত প্রায়ই ৪ রাকাআত বিশিষ্ট সালাতের ৩য় /৪র্থ রাকাআত এ যাবার পর আমার মনে হয় আমি ২য় রাকাতে তাশাহুদ পাঠ করিনি। একদিন যোহরের সালাতে এমনটা হলো তখন আমি ভেবেছিলাম সাহু সিজদাহ দিয়ে দিব কিন্তু অই ৪ রাকাত ফরজ সালাত শেষ করার পর আমি সাহু সিজদাহ দিতে ভুলে যাই তারপর আরো ২ রাকা'ত সুন্নাত সালাত পড়ার পর মনে পড়ে তৎক্ষনাৎ সাহু সিজদাহ দিয়ে দেই।আমি সাহু সিজদাহ দেওয়ার পূর্ব এ সালাতের স্থান ত্যাগ করিনি এবং দুনিয়াবি কোনো কাজ বা কথাবার্তা বলিনি।আমার অই ৪ রাকাত ফরজ সালাত কি শুদ্ধ হয়েছে নাকি আবার আদায় করতে হবে,??


২..অফিসে কাজের ক্ষেত্রে আমাদের স্যার কোনো ভুল পেলে যদি জানতে চায় ভুলটি কে করেছে। সেক্ষেত্রে, প্রায়শই বলতে হয় অমুক/তমুক করেছে কারন যে ভুল করেছে তার নামে এটা একটা খাতায় এন্ট্রি করা হবে,এটা আমাদের অফিসের রুলস। কোনো কলিগের অনুপস্থিতি তে এরুপ বলায় কি গীবত হবে??ভুলটি কে করেছে বুঝতে পারা সত্ত্বেও ত যদি বলি আমি জানিনা তাহলেও ত মিথ্যা কথা বলা হয়।

৩...আবার স্যার যদি কোনো নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার ২/৩ মাস পর তার কাজের পারফর্মেন্স সম্পর্কে জানতে চায় সেক্ষেত্রে সত্যি কথাটা অনেক সময় সেই কর্মকর্তা র বিপক্ষে যায় যেটা সে শুনলে কষ্ট পাবে। কিন্তু আমাদের সবাইকে ত স্যারের কাছে  জুনিয়র কর্মকর্তা র পারফর্মেন্স এর আপডেট দিতে হয়।সেক্ষেত্রে কিভাবে বললে সেটা গীবত  ও আবার মিথ্যাও হবেনা??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
নামাজে উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা ওয়াজিব। কেউ যদি তাশাহুদ না পড়ে তাহলে তার উপর সাহু সেজদা আবশ্যক হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نَقُولُ التَّحِيَّةُ فِي الصَّلاَةِ وَنُسَمِّي، وَيُسَلِّمُ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ، فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قُولُوا التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِنَّكُمْ إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ فَقَدْ سَلَّمْتُمْ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ

‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নামাজের (বৈঠকে) আত্তাহিয়্যাতু…..বলতাম, তখন আমাদের একে অপরকে সালামও করতাম। আল্লাহর রাসূল (সা.) তা শুনে ইরশাদ করলেন, তোমরা বলবে, ‘যাবতীয় মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহরই জন্য। হে (মহান) নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত (বর্ষিত)- হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সালিহ বান্দাদের প্রতি; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।’ কেননা, তোমরা এরূপ করলে আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল নেক বান্দাকে তোমরা যেন সালাম করলে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২০২]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মনের যদি প্রবল ধারণা হয়ে যে আসলেই আপনি ১ম বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করেননি, সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন।

আর যদি বিষয়টি নিছক সন্দেহ হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা। 

(০২)
এক্ষেত্রে স্যারের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভুল কারীর নাম বলা জায়েজ আছে।

(০৩)
মিথ্যা বলা যাবেনা।
সত্যই বলবেন। তবে যে সত্য তার বিরুদ্ধে যায়,স্পষ্ট প্রশ্নে সেটি জানতে চাওয়া না হলে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বলবেন যে আমার জানামতে তিনি এমন।
(অতিরিক্ত কথা বলবেননা।)

★উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে স্যারের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তার কাজের পারফর্মেন্স সম্পর্কে পুরোপুরি সত্য তথ্য দেয়া জায়েজ আছে,এতে গুনাহ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 77 views
...