জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজে উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা ওয়াজিব। কেউ যদি তাশাহুদ না পড়ে তাহলে তার উপর সাহু সেজদা আবশ্যক হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نَقُولُ التَّحِيَّةُ فِي الصَّلاَةِ وَنُسَمِّي، وَيُسَلِّمُ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ، فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قُولُوا التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِنَّكُمْ إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ فَقَدْ سَلَّمْتُمْ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ
‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নামাজের (বৈঠকে) আত্তাহিয়্যাতু…..বলতাম, তখন আমাদের একে অপরকে সালামও করতাম। আল্লাহর রাসূল (সা.) তা শুনে ইরশাদ করলেন, তোমরা বলবে, ‘যাবতীয় মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহরই জন্য। হে (মহান) নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত (বর্ষিত)- হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সালিহ বান্দাদের প্রতি; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।’ কেননা, তোমরা এরূপ করলে আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল নেক বান্দাকে তোমরা যেন সালাম করলে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২০২]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মনের যদি প্রবল ধারণা হয়ে যে আসলেই আপনি ১ম বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করেননি, সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন।
আর যদি বিষয়টি নিছক সন্দেহ হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে স্যারের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভুল কারীর নাম বলা জায়েজ আছে।
(০৩)
মিথ্যা বলা যাবেনা।
সত্যই বলবেন। তবে যে সত্য তার বিরুদ্ধে যায়,স্পষ্ট প্রশ্নে সেটি জানতে চাওয়া না হলে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বলবেন যে আমার জানামতে তিনি এমন।
(অতিরিক্ত কথা বলবেননা।)
★উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে স্যারের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তার কাজের পারফর্মেন্স সম্পর্কে পুরোপুরি সত্য তথ্য দেয়া জায়েজ আছে,এতে গুনাহ হবেনা।
আরো জানুনঃ-