আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,628 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু একজন পরীক্ষার্থী। নিয়্যাত করেছি দ্রুততম সময়ে বিবাহ করব, ইনশা আল্লহ। কিন্তু একটা নতুন চিন্তা মাথায় আসলঃ আমার জানা মতে, কয়েকটি বিশেষ কারণ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা শরিয়তে অনুমোদিত না। কিন্ত আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় বিয়ে করি আর যদি আমার স্ত্রীও একজন ছাত্রী হন, তাহলে কি আমরা পড়াশোনার সময়টুকু সন্তান জন্মদান করা থেকে বিরত থাকতে পারব? 

বিঃদ্রঃ আমি রিজক নিয়ে মোটেও চিন্তিত না, রিজকের ব্যবস্থা আল্লহই করেন। আমি আসলে দুইজনের, বিশেষত আমার হবু স্ত্রীর পড়াশোনার সুবিধা-আসুবিধার কথা ভেবে এই চিন্তা করছি।


আমার প্রশ্নগুলো হলঃ
১। উল্লেখিত পরিস্থিতিতে কি শারিয়ত জন্ম নিয়ন্ত্রণের অনুমোদন দেয়?
২। যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে কোন পদ্ধতিটি সর্বোত্তম?
৩। বর্তমান সমাজের অবস্থার প্রেক্ষাপটে অল্প বয়সে (২২-২৩ বছর) বিয়ে করার ব্যাপারে বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনকে রাজী করানোর জন্য কিছু নাসিহাহ চাচ্ছি।

closed

1 Answer

+4 votes
by (573,870 points)
edited by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,আমরা   https://ifatwa.info/9675/ ফতোয়াতে উল্লেখ করেছি যে,
ইসলাম মানুষকে অধিক সন্তানলাভের প্রতি উৎসাহ দিয়েছে এবং যে সব নারীরা অধিক সন্তানের প্রসবনী হয়ে থাকে, তাদের বিবাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে।

 রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
تزوجوا الودود الولود ، فإني مكاثر بكم الأمم يوم القيامة

“তোমরা অধিক সন্তানের প্রসবনী ও স্বামীদের অধিক ভালোবাসে এ ধরনের মেয়েদের বিবাহ কর, কারণ, কিয়ামতের দিন আমি আমার উম্মত বেশি হওয়ার কারণে আল্লাহর দরবারে গর্ব করব।”(আবু দাউদ, নাসায়ী। হায়াতুল মুসলিমিন, পৃষ্ঠা-১৮৯)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে  সাধারণত জন্ম নিয়ন্ত্রণ  করা হয়।
,
এক.স্থায়ী পদ্ধতি–যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ অবৈধ। 

আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (র.) বুখারী শরীফের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন: و هو محرم بالاتفاق অথাৎ স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন সর্বসম্মতক্রমে হারাম।(উমদাতুল ক্বারীঃ ১৪/১৪ পৃঃ)

দুই.অস্থায়ী পদ্ধতি– যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না। যেমন : আযল করা (সহবাসের চরম পুলকের মুহুর্তে স্ত্রীর যোনীর বাহিরে বীর্যপাত ঘটানো), Condom Jelly, Cream, Foam, Douche ইত্যাদি ব্যবহার করা, পিল (Pill) খাওয়া,জরায়ুর মুখ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া, ইঞ্জেকশন নেয়া ইত্যাদি।

দ্বিতীয় প্রকার শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত মাকরুহে তানযিহি।তবে শরীয়ত সম্মত নিম্নোক্ত প্রয়োজনে বৈধ রয়েছে।
(ক)মহিলা এত দুর্বল যে, গর্ভধারণের বর্তমানে যোগ্যতা নেই।
(খ)মহিলা নিজ বাসস্থান থেকে এত দূর সফরে যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের আপতত কোনো মনোবাসনা নেই।আবার নিজ বাসস্থানে আসতেও কয়েক মাস লেগে যাবে বা কয়েক মাসের প্রয়োজন।
(গ)স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সম্পর্ক চূড়ান্ত নিম্ন পর্যায়ের,এমনকি উভয়ের অন্তরে বিচ্ছেদের চিন্তাভাবনা চলছে।
(ঘ)পূর্বের বাচ্চার সু-সাস্থ্যর ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে।
(ঙ)স্থান-কালের ফাসাদ অর্থাৎ দ্বীনী পরিবেশের চূড়ান্ত পর্যায়ের অবনতির ধরুন বাচ্চা বদ-আখলাক বা অসচ্চরিত্র এবং মাতাপিতার বে-ইজ্জতির কারণ হবে বলে আশঙ্কা করলে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن جابر قال كنا نعزل على عهد النبي صلى الله عليه و سلم ـ صحيح البخاري – (2 / 784)، باب العزل

হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আযল(যা জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটা পুরনো ও অস্থায়ী পদ্ধতি) করতাম। (বুখারী ২/৭৮৪)

★বিঃদ্রঃ
সম্পদ কমে যাবে বা মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে সমাজে লজ্জিত হতে হবে মনেকরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ কখনো বৈধ হবে না।

আল্লাহ বলেছেন, 

ولا تقتلوا أولادكم خشية إملاق، نحن نرزقهم وإيّاكم إنّ قتلهم كان خطأ كبيراً. 

‘’দারিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি।নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ…’’(সূরা ইসরা, আয়াত-৩১)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন, 
الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ . 
“শয়তান তোমাদের অভাবের ওয়াদা দেয়।” (সূরা আল-বাক্বারা)

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,আজকাল যদিও সন্তান হত্যার পরিবর্তে নানাবিধ উপায়ে তাদের জন্মের পর বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, তবুও সন্তান জন্মানোর ফলে আর্থিক আশংকাজনিত ভুল ধারণা জন্মনিরোধের অন্যতম কারণ। 

সুতরাং এবিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানকে ভেবে চিন্তে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে,দুনিয়ার সামান্য ভোগবিলাস, কষ্ট বা লজ্জার ভয়ে আমরা যেন আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমান ও আখেরাতকে বরবাদ না করে দেই।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০১)
পড়াশোনার অজুহাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি  ইসলামে নেই। 
এটি মাকরুহে তানযিহি  হবে। 

উপরোক্ত বৈধ পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটা যদি এখানেও পাওয়া যায়,যেমন যদি মহিলা এত দুর্বল যে, গর্ভধারণের বর্তমানে যোগ্যতা নেই।
বা মহিলা নিজ বাসস্থান থেকে এত দূর সফরে যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের আপতত কোনো মনোবাসনা নেই।
বা তিনি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে,তাহলে এহেন ছুরতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
,
অন্যথায় মাকরুহে তানযিহি হবে।
(০২)
উপরোক্ত ছুরত পাওয়া গেলে বৈধ হবে,নতুবা মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম হবে।

সেক্ষেত্রে নিম্নে দেওয়া যেকোনো পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেনঃ  
আযল করা (সহবাসের চরম পুলকের মুহুর্তে স্ত্রীর যোনীর বাহিরে বীর্যপাত ঘটানো), Condom Jelly, Cream, Foam, Douche ইত্যাদি ব্যবহার করা, পিল (Pill) খাওয়া।
,
তবে রিযিক পাবেনা,বা সম্পদ কমে যাবে বা মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে সমাজে লজ্জিত হতে হবে মনে করে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ কখনো বৈধ হবে না।
নাজায়েজ হবে। 

(০৩)
যুব সমাজের যত সব সমস্যা আছে তার মধ্যে বিবাহ না করা বা দেরিতে বিবাহ করা এটি একটি অন্যতম সমস্যা। সুতরাং যুবকদের সমস্যার প্রতিকারের জন্য অবশ্যই বিবাহ সম্পর্কে যুবকদের মধ্যে যে আতঙ্ক রয়েছে তা দূর করতে হবে এবং যথা সময়ে তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করতে হবে। নিম্নে আমরা বিবাহ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরব।

★যুব সমাজ ও বিবাহ
যুবকদের অন্যতম সমস্যা হল, সময়মত বিবাহ না করা। এটি একটি মারাত্মক সমস্যা, যার কারণে যুব সমাজকে এত বেশি ও অসংখ্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, যা কেবল আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। বিবাহ না করার তারা বিভিন্ন কারণ দেখায়।

 যেমন-
এক- তাড়া-তাড়ি বিবাহ করলে, পড়া লেখার ক্ষতি এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়।

দুই- দ্রুত বিবাহ করা দ্বারা তার উপর স্ত্রী সন্তানের খরচ করার দায়িত্ব বর্তায়, যা তার জন্য কঠিন হয়।

তিন- যুবকদের বিবাহ করা হতে দূরে থাকার সবচেয়ে ক্ষতিকর বিবাহ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা। যেমন, অধিক খরচ, যা অনেক সময় একজন যুবক বহন করতে সক্ষম হয় না। এটি আমার দৃষ্টিতে যুবকদেরকে বিবাহ হতে দূরে রাখার সবচেয়ে বড় সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা।

আমরা আন্তরিক হলে, যুবকদের এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা খুব সহজ এবং সহনীয়। প্রথমত: বিবাহ করার মধ্যে একজন যুবকের জন্য কি কি কল্যাণ, সাওয়াব, নেকী ও গুণাগুণ রয়েছে, তার বর্ণনা যুবকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। দুনিয়াতে সব কিছুরই ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। অনুরূপভাবে বিবাহও। আমি বলি না যে, এর কোনো খারাপ দিক নাই। কিন্তু বিবাহের ভালো দিক, খারাপ দিকের তুলনায় অধিক উত্তম, ভালো, কল্যাণকর ও অগ্রগণ্য। সুতরাং, একজন যুবককে বিবাহের কল্যাণকর দিকগুলো বুঝাবে এবং বিবাহ করার প্রতি উৎসাহ দেবে, যাতে তারা বিবাহের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

★বিবাহের উপকারিতা:
এক- বিবাহ লজ্জাস্থানের হেফাযত এবং চোখের হেফাযত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، عَلَيْكُمْ بِالبَاءَةِ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمُ البَاءَةَ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ»
“হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যার ক্ষমতা আছে, সে যেন বিবাহ করে। কারণ, এটি চোখের জন্য নিরাপদ এবং লজ্জা-স্থানের হেফাযত। আর যদি কোনো ব্যক্তি অক্ষম হয়, সে যেন রোযা রাখে। কারণ, রোযা তার জন্য প্রতিষেধক”।
বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬, মুসলিম, হাদিস: ১৪০০


বর্তমানে আমাদের এ যুগে অধিকাংশ যুবকই বিবাহ করতে সক্ষম। সুতরাং, তাদের বিবাহের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার গড়িমসি করা উচিত নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٢٩ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٣٠ ﴾ [المعارج: ٢٩، ٣٠]
আর যারা তাদের যৌনাঙ্গসমূহের হিফাযতকারী, তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে, সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।
সূরা মায়ারেয, আয়াত: ২৯, ৩০

বিবাহ লজ্জা-স্থানের জন্য নিরাপদ। অর্থাৎ বিবাহ তোমাকে মহা ক্ষতি-লজ্জা-স্থানের বিপদ-থেকে নিরাপত্তা দেবে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বিবাহ লজ্জা-স্থানের হেফাজত এবং চোখের নিরাপত্তা। বিবাহ একজন যুবকের চোখকে ঠাণ্ডা করে এবং বিবাহ করার কারণে একজন যুবক এদিক সেদিক তাকায়-না অথবা আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তার প্রতি কোনো প্রকার কর্ণপাত করে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হালালের মাধ্যমে হারাম হতে ফিরিয়ে নিয়েছে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা অন্য সবকিছু হতে তাকে যথেষ্ট করেছে।

★দুই- বিবাহ দ্বারা আত্মার তৃপ্তি ও প্রশান্তি লাভ হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ ٢١ ﴾ [الروم: ٢١]
“আর তার নিদর্শনা বলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নির্দেশাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য যারা চিন্তা করে”।
সূরা রুম, আয়াত: ২১

যখন কোনো যুবক বিবাহ করে, তখন তার খারাপ আত্মা ও কু-প্রবৃত্তি খামুশ হয়ে যায়, দিক-বেদিক ছুটা-ছুটি করা হতে বিরত থাকে এবং তার অন্তর প্রশান্তি পায়। একজন যুবক অনেক সময় দুশ্চিন্তা ও পেরেশানিতে থাকে। কিন্তু যখন সে বিবাহ করে, তখন তার আত্মা শান্তি ও নিরাপদ থাকে। মোটকথা, বিবাহ করা, একজন যুবকের জন্য অসংখ্য কল্যাণের কারণ হয়ে থাকে।

★দ্রুত বিবাহ করার উপকারিতা:
দ্রুত বিবাহ করার অন্যতম উপকারিতা হল, সন্তান লাভ করা যা একজন মানুষের চোখের শীতলতা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا٧٤ ﴾ [الفرقان: ٧٤]
“আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’।
সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪

আয়াত দ্বারা বুঝা যায় স্ত্রী সন্তানরা মানুষের চোখের শীতলতা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দেন যে, বিবাহের দ্বারা চোখের শীতলতা লাভ হয়। এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা যুবকদের বিবাহ করার প্রতি উৎসাহ দেন এবং বিবাহ করার জন্য সাহস দেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও বলেন,
﴿هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا ٧٤﴾ [الفرقان: ٧٤]
“আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’।
সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪

অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
﴿ٱلۡمَالُ وَٱلۡبَنُونَ زِينَةُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱلۡبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيۡرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابٗا وَخَيۡرٌ أَمَلٗا ٤٦﴾ [الكهف: ٤٦]
“সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা। আর স্থায়ী সৎকাজ তোমার রবের নিকট প্রতিদানে উত্তম এবং প্রত্যাশাতেও উত্তম”
সূরা কাহাফ, আয়াত: ৪৬

সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য। আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, সন্তান দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য। আর মানুষ দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্যের প্রেমিক। একজন মানুষ যেভাবে ধন-সম্পদ তালাশ করে অনুরূপভাবে সে সন্তান-সন্ততিও তালাশ করে। কারণ, মাল যেমন দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য এমনিভাবে সন্তানও দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য। আর আখিরাতে নেক সন্তানের নেক আমলের সাওয়াব মাতা-পিতার উপরও বর্তাবে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: صَدَقَةٌ جَارِيَةٌ، وَعِلْمٌ يُنْتَفَعُ بِهِ، وَوَلَدٌ صَالِحٌ يَدْعُو لَهُ »
“যখন আদম সন্তান মারা যায় তখন তার তিনটি আমল ছাড়া সব আমলের সাওয়াব বন্ধ হয়ে যায়। উপকারী ইলম যা দ্বারা মানুষ উপকার লাভ করতে থাকে, সদকায়ে জারিয়া এবং নেক সন্তান যারা তাদের জন্য দু’আ করতে থাকে”।
তিরমিযি, হাদিস: ১৩৭৬, নাসায়ী হাদিস: ৩৬৫১

সুতরাং সন্তান-সন্ততির মধ্যে দুনিয়ার জীবন ও আখিরাতের জীবন উভয় জাহানের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। অনুরূপভাবে যৌবনের শুরুতে বিবাহ করা দ্বারা যখন অধিক সন্তান লাভ হবে, তখন উম্মতে মুসলিমার সংখ্যা ও মুসলিম সমাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর মানুষ ইসলামী সমাজ গঠনের বিষয়ে অবশ্যই দায়িত্বশীল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«تَزَوَّجُوا الْوَدُودَ الْوَلُودَ فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الْأُمَمَ»
“তোমরা বিবাহ কর এমন স্ত্রীদের যারা অধিক মহব্বত করে এবং অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ কিয়ামতের দিন আমি তোমাদের আধিক্যকে নিয়ে গর্ব করব”।
আবু দাউদ, হাদিস:২০৫০, আহমদ: ১৩৫৬৯

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও বিবাহ করাতে অনেক কল্যাণ নিহিত। যখন তুমি একজন যুবকের সামনে এ ধরনের বিষয়গুলো তুলে ধরবে, তখন তার সামনে বিবাহ হতে বিরত রাখে এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও বাধা দূর হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি বলে, দ্রুত বিবাহ করা দ্বারা পড়া লেখার ক্ষতি হয় বা উচ্চ ডিগ্রি লাভ করতে বাধা হয়, সে আসলে তোমাকে সঠিক কথা বলে নি। বরং সঠিক কথা হলো এর বিপরীত। কারণ, বিবাহ করার যে সব ফায়দা লাভ ও বৈশিষ্ট্যের কথা আমরা উপরে উল্লেখ করলাম, এগুলোর সাথে সাথে বিবাহ দ্বারা আরও যা লাভ হয়, তা হল, আত্মার প্রশান্তি, অন্তরের শান্তি ও চোখের শীতলতা। আর যখন কোনো মানুষের মন শান্ত থাকে, আত্মা পরিতৃপ্ত এবং চোখের শীতলতা থাকে, তখন তার জন্য সব কিছুই সহজ হয় এবং শিক্ষা লাভ করা সহজ হয়। আর বিবাহ বিলম্ব করা বা না করা দ্বারা মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তথা অধিক জ্ঞান অর্জন করাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় না। কিন্তু যখন বিবাহ করে, তখন তার প্রবৃত্তি শান্ত হয় এবং সে একটি বিশ্রাম স্থল লাভে ধন্য হয় এবং এমন একজন স্ত্রী লাভে সক্ষম হয়, যে তাকে শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে এবং বাড়ি ফিরলে তার খেদমত ও সেবা যত্ন করবে। সুতরাং, আল্লাহ তা‘আলা যখন তাড়াতাড়ি বিবাহ করার সুযোগ করে দেয়, তা অবশ্যই করা উচিত, কাল ক্ষেপণ করা কোনো ক্রমেই উচিত না। কারণ, এটি একজন ছাত্রকে তার জ্ঞান অর্জনে সহযোগিতা করে। আর বিবাহ করাতে পড়া লেখা ও জ্ঞান অর্জনে বিঘ্ন ঘটে এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক। অনুরূপভাবে তাড়াতাড়ি বিবাহ করার কারণে একজন ছাত্র বা যুবক স্ত্রী সন্তানের খরচ বহন করার দায়িত্ব নিতে হয় যার কারণে অতিরিক্ত চাপ বহন করতে হয়, এ ধরনের কথা বলাও অমূলক। কারণ, বিবাহ করা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা বরকত ও কল্যাণ দান করবেন। বিবাহ হচ্ছে আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণ ও আনুগত্য করা। আর এটি একটি সাওয়াবের কাজ ও উত্তম কাজ। যখন কোনো যুবক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশের অনুকরণ করার উদ্দেশ্যে বিবাহ করে, বিবাহ করাতে যে সব বরকতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার অনুসন্ধান করে এবং তার নিয়ত খাটি হয়, তাহলে অবশ্যই এ বিবাহ তার জন্য কল্যাণের কারণ হবে। আর মনে রাখতে হবে, রিযকের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ বলেন,
﴿۞وَمَا مِن دَآبَّةٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ إِلَّا عَلَى ٱللَّهِ رِزۡقُهَا وَيَعۡلَمُ مُسۡتَقَرَّهَا وَمُسۡتَوۡدَعَهَاۚ كُلّٞ فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ ٦ ﴾ [هود: ٦]

“আর জমিনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিযকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল”। [সূরা হুদ, আয়াত: ৬] আল্লাহ তা‘আলা যাকে বিবাহ করার তাওফিক দেন তার জন্য ও তার স্ত্রী সন্তানের রিযকের ব্যবস্থা তিনিই করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُم مِّنۡ إِمۡلَٰقٖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكُمۡ وَإِيَّاهُمۡۖ ١٥١﴾ [الانعام: ١٥١]
“আর তোমরা দারিদ্রের কারণে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমিও তোমাদেরকে রিযক দেই এবং তাদেরকেও”।[
সূরা আনআম, আয়াত: ১৫১

সুতরাং, মনে রাখতে হবে, কোনো যুবককে তার ক্ষমতার অতিরিক্ত কোনো দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয় না। এটি নিছক একটি ধারনা বৈ আর কিছু নয়। কারণ, বিবাহের কারণে বরকত হয় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হয়। বিবাহ মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত চিরন্তন একটি বিধান। বিবাহ করা মানুষের জন্য কোনো প্রকার আতঙ্ক বা দুঃখ কষ্টের কারণ নয়। যদি মানুষের নিয়ত ভালো হয়, তাহলে বিবাহ কল্যাণ লাভের মাধ্যমসমূহ হতে একটি অন্যতম মাধ্যম। আর বর্তমানে মানুষ বিবাহের ক্ষেত্রে যে সমস্যা ও অসুবিধার কারণ দেখায়, এগুলো সবই মানুষের –নিন্দনীয়- আবিষ্কার। কারণ, বিবাহতে এ ধরনের কোনো অসুবিধা বা সমস্যা বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যেমন, বড় অংকের মোহর নির্ধারণ করা, বড় করে অনুষ্ঠান করা, অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অধিক টাকা পয়সার অপচয় করা ইত্যাদি যেগুলো বর্তমানে মানুষ করে থাকে, এগুলো করার বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলার বিধানে নেই। বরং, বিবাহ শাদিকে সহজকরণই ইসলামী শরিয়তের মূল লক্ষ্য। বিবাহ শাদিতে যে সব অনৈতিক ও অনর্থক কাজ করা হয়ে থাকে, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে যে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না বরং তা তাদের স্ত্রী সন্তানদের ক্ষতির কারণ হয়। সুতরাং, এগুলোর সংস্কার করতে হবে এবং বিবাহ শাদিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না হয়, বিবাহ যাতে সহজ হয়, বিবাহতে খরচ কমিয়ে আনা যায় তার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আর অতিরিক্ত ব্যয়, অনুষ্ঠানাদি ইত্যাদি অনৈতিক ও অনর্থক বিষয়গুলো দূর করার উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে বিবাহ শাদি তার আপন অবস্থা-সহজ পদ্ধতি কম খরচ-এর প্রতি ফিরে আসে। আল্লাহ তা‘আলার নিকট আমাদের কামনা তিনি যেন, আমাদের সবার প্রতি দয়া করেন এবং আমাদেরকে সঠিক পথের দিক হিদায়েত দেন। আর তিনি যেন, মুসলিমদের অবস্থা ও মুসলিম যুবকদের অবস্থা সংশোধন করে দেন। আরও কামনা করি আল্লাহ যেন মুসলিমদেরকে তাদের হারানো ইজ্জত, সম্মান ও গৌরবকে ফিরিয়ে দেন, তাদের অবস্থার উন্নতি দান করেন। আল্লাহর নিকট কামনা, আল্লাহ যেন, মুসলিমদের তাদের দ্বীনের বিষয়ে সাহায্য করেন এবং তাদেরকে তাদের দুশমনদের অনিষ্টতা থেকে হেফাযত করার ক্ষেত্রে তিনিই যথেষ্ট হন। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার পরিবার পরিজন ও তার সব সাথীদের উপর। আর যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক।
(সংগৃহীত)
,
★★অভিভাবকদের রাসুল সাঃ এর উল্লেখিত হাদীস আর নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা, এর দ্বারা ঈমানের পূর্ণতা আসে,গুনাহ থেকে বাঁচা যায়,ইত্যাদি বুঝাতে হবে।

যদি খরচ চালানোর অজুহাত তারা দেখায়,তাহলে বলতে হবে যে উভয় পরিবারে এই ভাবেই চুক্তিবদ্ধ থাকবে যে লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো রকমের খরচ স্বামী চালাতে পারবেনা,বিবাহ না হলে যেমন তার খরচ তার অভিভাবক  চালাতো,বিবাহের পরেও তাই করতে হবে।
লেখাপড়া শেষ হলে চাকুরী ইত্যাদির পর স্বামী খরচ চালাবে।
(এটি সম্পর্কে যদি মেয়ের অভিভাবক মেয়ের খরচ চালানোর ব্যাপারে সন্তুষ্টি চিত্তে রাজি হয়,তবেই এই বিধান,যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তে  রাজি না হয়,বরং বলে দেয় যে স্বামীকেই খরচ চালাতে হবে,তাহলে এই বিধান নয়।)  
,
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য তাদের কাছে এই হেল্প চাইতে হবে,প্রয়োজনে মুরব্বিদেরকে দিয়ে বুঝাতে হবে।
,
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
জবাবের একটি অংশে 

"দ্বিতীয় প্রকার শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত মাকরুহে তানযিহি।তবে শরীয়ত সম্মত নিম্নোক্ত প্রয়োজনে বৈধ রয়েছে।"

যদি 'পড়াশোনার অজুহাত' শরীয়তসম্মত কারণ হিসেবে গণ্য নাও হয়, তাহলে প্রথম প্যারা অনুসারে মাকরূহ হবার কথা।

কিন্তু আবার বলা হল "পড়াশোনার অজুহাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি  ইসলামে নেই। 
এটি নাজায়েজ হবে। " 

তাহলে কি বক্তব্য দুটি বিপরীত হয়ে গেল না?? এখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলে কী? মাকরূহ নাকি নাজায়েয?

যেমন আবারো বলা হল 

"উপরোক্ত বৈধ পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটা যদি এখানেও পাওয়া যায়,যেমন যদি মহিলা এত দুর্বল যে, গর্ভধারণের বর্তমানে যোগ্যতা নেই।
বা মহিলা নিজ বাসস্থান থেকে এত দূর সফরে যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের আপতত কোনো মনোবাসনা নেই।
বা তিনি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে,তাহলে এহেন ছুরতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
,
অন্য মাকরুহে তানযিহি হবে।"
(সম্ভবত অন্যথায় এর বদলে অন্য লেখা হয়েছে) 

এটির শেষবাক্য অনুসারেও তো বিষয়টি নাজায়েয না হয়ে মাকরুহই হবার কথা!! 


আর উত্তরের  শেষে বলা হয়েছে- 

"যদি খরচ চালানোর অজুহাত তারা দেখায়,তাহল্র বলতে হবে যে উভয় পরিবারে এই ভাবেই চুক্তি থাকবে যে লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো রকমের খরচ স্বামী চালাবেনা,বিবাহ না হলে যেমন তার খরচ তার পরিবার চালাতো,বিবাহের পরেও তাই করতে হবে।
লেখাপড়া শেষ হলে খরচ চালাবে।"

এ পরামর্শ মোতাবেক স্ত্রীর খরচ বহনই যদি সে না করে, সন্তানের খরচ বহন সে কীভাবেই বা করবে? 

by
এই কমেন্টের উত্তর আশা করছি।
by (573,870 points)
জবাবটি পুনরায় পড়ার পরামর্শ থাকবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...