আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

১) সৎ ছেলের প্রতি মায়ের দায়িত্ব কর্তব্য কতটুকু? ছেলের বয়স ১১। ছেলের কোন দায়িত্ব পালন না করলে কি গুনাহ হবে?

২) ছেলের আলাদা রুম থাকা সত্ত্বেও  যদি এগারো বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে রাতে ঘুমাতে চায় আর স্ত্রী যদি এতে রাজি না হয়ে আলাদা বিছানায় ঘুমায় এতে কি স্ত্রীর গুনাহ হবে?
৩) তালাক হওয়ার পরও ১ম স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা, তাদের বাসায় যাতায়াত করা স্ত্রীর মায়ের সাথে দেখা দেয়া জায়েজ আছে কিনা?

৪) স্ত্রী হিসেবে আমার কতোটুকু হক্ব আছে আমার স্বামীর উপর। আমার হক্ব কি আগের তালাককৃত স্ত্রীর পরিবারের চেয়েও কম?

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
সৎ ছেলের প্রতি মায়ের ওয়াজিব কোনো দায়িত্ব নেই। তবে এক্ষেত্রে বাবা তার ২য় স্ত্রীকে আহবান জানাতে পারে সৎ ছেলের দেখাশোনা ও খেদমত করার জন্য।

এক্ষেত্রে সেই ২য় স্ত্রী তার স্বামীর খেদমত আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি আখলাক গত দিক থেকে সৎ ছেলের খেদমত ও দেখাশোনা খুশির সাথে করবে।
তবে তাহা আবশ্যক নয়।
এটি তার জন্য ঐচ্ছিক। 

উক্ত ছেলের বয়স যেহেতু ১১,তক তার শারীরিক খেদমত নয়,বরং ভরনপোষণ ইত্যাদি দিক হতে তার দেখাশোনা করবে।

(০২)
এতে স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।
বরং এক্ষেত্রে ছেলেটির জন্য আলাদা বিছানার বিষয়টি স্বামীর মানা আবশ্যক। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ زَاجٌ ، نَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، أَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ ، نَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَنْظُرُ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ ، فَإِنَّ مَا تَحْتَ السُّرَّةِ إِلَى الرُّكْبَةِ مِنَ الْعَوْرَةِ

মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
(সুনানে দারা কুতনি ৮৬৩)

(০৩)
সেই পরিবারের পুরুষ সদস্য দের সাথে কথাবার্তা বলতে পারে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়গুলি জায়েজ হবেনা।

(০৪)
আগের তালাককৃত স্ত্রীর চেয়ে আপনার হক কোনো অংশেই কম নয়।

বরং স্ত্রী হিসেবে শরীয়ত কর্তৃক যতটুকু হক নির্দিষ্ট থাকে, আপনার জন্য পরিপূর্ণ হকই থাকবে।
কোনো হক কম করার সুযোগ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...