আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 
১)ইমাম সাহেব যদি হযরত বায়েযীদ (রঃ) কে "গাউসুল আযম" বলে সম্বোধন করেন, তবে কি শিরক হবে? উনার পিছনে নামায পড়া যাবে?

২)গইরে আলিম বা সাধারণ মানুষের জন্য সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যদি ওয়াজিব হয়ে থাকে, তবে প্রশ্ন হলো কাউকে কোন হারাম কাজ করতে দেখে কমপক্ষে কতবার নিষেধ করলে ওয়াজিব আদায় হবে? 

৩)বাধা দেয়া বা মুখে নিষেধ করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও চুপ থেকে শুধু মনে মনে ঘৃণা বজায় রাখলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/35030/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
গাউস শব্দটি আরবী। এর অর্থ হল, সাহায্যকারী, আবেদন পূরণকারী। আজম শব্দটিও আরবী। এর অর্থ হল, বড় বা মহান। সে হিসেবে, গাউসুল আজম অর্থ হল, বড় সাহায্যকারী। [লিসানুল আরব ২/১৭৪]
,
বড় সাহায্যকারী একমাত্র আল্লাহ তাআলা। কোনো মাখলুক বড় সাহায্যকারী হতে পারে না। কোনো মাখলুকের কাছে সাহায্য প্রর্থনা করা সুস্পষ্ট কুফরী। 

হাদিস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَابْنُ، لَهِيعَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ الْحَجَّاجِ، قَالَ وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ الْحَجَّاجِ الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ " يَا غُلاَمُ إِنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ احْفَظِ اللَّهَ يَحْفَظْكَ احْفَظِ اللَّهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوِ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ وَلَوِ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحُفُ "

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে তরুণ! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখিয়ে দিচ্ছি- তুমি আল্লাহ্ তা'আলার (বিধি-নিষেধের) রক্ষা করবে, আল্লাহ তা'আলা তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখবে, আল্লাহ্ তা'আলাকে তুমি কাছে পাবে। 

★তোমার কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তা'আলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ্ তা'আলার নিকটেই কর।

আর জেনে রাখো, যদি সকল উম্মাতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তা'আলা তোমার জন্যে লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যতটুকু আল্লাহ্ তা'আলা তোমার তাকদিরে লিখে রেখেছেন। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।

সহীহঃ (তিরমিজি ২৫১৬ মিশকাত (৫৩০২), যিলালুল জান্নাত (৩১৬-৩১৮)।)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উল্লেখিত হাদীসে রাসূল (সা.) শুধু আল্লাহ তাআলার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন।  সুতরাং হযরত বায়েযীদ (রহঃ) কে গাউসুল আজম বলা শরিয়ত সম্মত হবে না।

উল্লেখিত ইমাম যদি গাউসুল আজম বলে 
হযরত বায়েযীদ (রহ.) কে বড় সাহায্যকারী হিসেবে মানে,বিশ্বাস করে,তাহলে এটি স্পষ্ট শিরক হবে।
তার পিছনে নামাজ হবেনা।  

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেব যদি এই অর্থে গাউসুল আজম না বলে,বরং শুধু শাব্দিক ভাবেই বলে থাকে,তাহলে এটিকে শিরক বলা যাবেনা।     

(০২)
এক বার নিষেধ করা যথেষ্ট হবে।
তবে নিজের অধিনস্ত হলে হাত দ্বারা প্রতিহত করবে।

(০৩)
বাধা দেয়া বা মুখে নিষেধ করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও চুপ থেকে শুধু মনে মনে ঘৃণা বজায় রাখলে গুনাহ হবে।
এতে তার দায়িত্ব আদায় হবেনা।
আল্লাহর দরবারে তাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...