▪️আমার স্বামী যে টাকা বেতন পান, সেই টাকা দিয়ে ওনার মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রামে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তুু, চরিত্র হেফাজতের জন্য হাসবেন্ড ওয়াইফ একসাথে থাকাটাও জরুরি আমাদের জন্য, হাসবেন্ডের ই বেশি কষ্ট হয় । আমাদের ৮ মাস বয়সী ছেলে সন্তান আছে।
শশুর শাশুড়ি গ্রামে থাকেন, আমার শাশুড়ি খুব অসুস্থ, কোমড়ে সমস্যার কারণে অনেক কষ্টে হাটা চলা করেন বয়স আনুমানিক ৫৩ হবে।তার যত্ন নেওয়ার মতো আপন মহিলা মানুষ, তেমন নেই। তাই আমাকে সে বাড়ির বৌ হিসেবে শাশুড়ির সঙ্গেই থাকতে হবে, তার দেখাশোনা করার জন্য। আপাতত আমার বাবার বাসায় ই আছি পড়াশোনার কারণে, হাসবেন্ড এখন আলাদা মেসে থাকেন, মেস থেকে সপ্তাহে ২ দিন করে এসে থেকে যান যেহেতু আমার বাবার বাড়িও এখানেই। কয়েক মাস পর ইন শা আল্লাহ পড়াশোনা শেষ হলে আমাকে হাসবেন্ড গ্রামে পাঠাতে চাচ্ছে।
কিন্তুু আমাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিলে, হয়তো আমার হাসবেন্ড মাসে ১/২ বার আসতে পারবে। আমি সবসময় এটাই চাই সবাই একসাথে থাকি কিন্তুু একসাথে রাখার সামর্থ্য তো হাসবেন্ডের নেই।
এখন আমাদের কি করা উচিত?এক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে? এই পরিস্থিতিতে ইসলামিক সমাধান কি?
▪️আবার আরেকটা চিন্তার বিষয় হল, আমার শশুড় শাশুড়ি কে সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানানোর পর ও তারা ব্যাংকে টাকা জমা রাখার মাধ্যমে সুদ খায়, আমার হাসবেন্ডের বেতনের অর্ধেকই গ্রামে বাবা মার কাছে পাঠায়, যার ফলে ঐ সুদের টাকার সাথে আমার স্বামীর হালাল ইনকাম করা টাকাও যোগ হয়। এখানে হালাল-হারামের মিশ্রণ হয়ে যায়। এখন আমার বাবার বাসায় আছি আমার বাবা ভাই আলহামদুলিল্লাহ হালাল ইনকাম করে তাই এখন হালালই খাচ্ছি, কিন্তুু গ্রামে থাকতে গেলে তো সেখানে আমাকে হারাম খেতে হবেই, আমি না চাইতেও,যেহেতু আমি কোন ইনকাম করি না, আমি কিভাবে বাচবো এই হারাম খাওয়া থেকে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
আমি অনেক ভয় করি এই সুদের ব্যাপারটা যেহেতু আল্লাহতালা দোয়াই কবুল করেন না, যারা হারাম খায় তাদের।