আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
আস সালামু আলাইকুম। আমার কয়েকটি প্রশ্ন।
১. কেউ যদি জেল-হাজতে বা অন্য কোথাও বন্দী থাকে, যেখানে তার হাত পা বাধা থাকে, ওযু, গোসল, পবিত্রতার ব্যাবস্থা না থাকে, ক্বিবলা ও ঠিকভাবে নির্ধারণ না করতে পারে- এক কথায় সে যদি নিজের উপর সম্পূর্ণ কতৃত্ব হারায়, এক্ষেত্রে তার নামায ও রোজার  হুকুম কি?
২. কেউ হানাফি মাযহাব এর অনুসরণ করে ও হাম্বলী দের মত ইমাম দুপাশে সালাম ফেরানোর পরে সালাম ফিরায়, সেক্ষেত্রে তার নামায কি হবে?

৩. কেউ হানাফী হয়েও যদি ইমামের কেরাতের সময়ে সূরা ফাতিহা পড়ে,  সেক্ষেত্রে তার নামায কি হবে?

৪. কারো স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়ে আলাদা থাকে, সেক্ষেত্রে ও কি স্ত্রীর ভরনপোষণ এর দায়িত্ব স্বামীর উপর বর্তায়?

...

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি জেল-হাজতে বা অন্য কোথাও বন্দী থাকে, যেখানে তার হাত পা বাধা থাকে, ওযু, গোসল, পবিত্রতার ব্যাবস্থা না থাকে, ক্বিবলা ও ঠিকভাবে নির্ধারণ না করতে পারে- এক কথায় সে যদি নিজের উপর সম্পূর্ণ কতৃত্ব হারায়, এক্ষেত্রেও তার উপর নামায ফরয থাকবে। আপাতত সে বিনা অজুতে নামাযের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে। নামাযের সাদৃশ্য গ্রহণ করা সম্ভব না হলে, সে তাসবিহ পড়বে।এবং পরবর্তীতে সে নামায কাযা করবে।

(২)
কেউ যদি হানাফি মাযহাব এর অনুসরণ করে।তবে হাম্বলীদের মত ইমাম দুপাশে সালাম ফেরানোর পরে সালাম ফিরায়, সেক্ষেত্রেও তার নামায আদায় হবে।

(৩) কেউ হানাফী হয়েও যদি ইমামের কেরাতের সময়ে সূরা ফাতিহা পড়ে, তাহলে সেটা মাকরুহে তাহরিমি হিসেবে বিবেচিত হবে।তাকে আবার নামায দোহড়িয়ে পড়তে হবে। 

(৪) কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীর অবাধ্য হয়ে আলাদা থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর ভরনপোষণ স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 280 views
0 votes
1 answer 2,352 views
...